ভোলায় পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু
Published: 6th, April 2025 GMT
ভোলার সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ও চরসামাইয়া ইউনিয়নে পানিতে ডুবে তিন শিশু মারা গেছে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। থানা–পুলিশ, স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও ভোলা সদর হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো.
মারা যাওয়া তামান্নার মামাতো ভাই মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মাছ চাষ করার জন্য বাড়ির পাশের পুকুরে খাল থেকে পানি প্রবেশ করাচ্ছিলেন লোকজন। এ সময় মো. মহিউদ্দিনের ছেলে তানজিল সেখানে খেলতে গিয়ে স্রোতের মুখে ডুবে যায়। তাকে উদ্ধার (বাঁচাতে) করতে গিয়ে তামান্না ঝাঁপ দিয়ে ডুবে যায়। তানজিল সাঁতার না জানলেও তামান্না সাঁতার জানত। দুজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তামান্না মা–বাবার একমাত্র মেয়ে। তানজিলের এক বোন আছে।
মৃত জিসানের চাচা মিলন চৌধুরী জানান, তাঁর চাচাতো ভাই রুবেল চৌধুরী মিরবাজারে চায়ের দোকানে আর মা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ঘরের পাশেই পুকুর। সেই পুকুরঘাটে জিসানরা দুই ভাইবোন গোসল করতে যায়। ঘাট থেকে পিছলে জিসান পানিতে পড়ে গেলে বড় বোন চিৎকার করে। কিন্তু ঘরের পাশে স মিল চালু থাকায় চিৎকারের শব্দ মায়ের কানে পৌঁছায়নি। লাশ ভেসে উঠলে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সোনালী ব্যাংকের সাবেক ৭ কর্মকর্তাসহ ১১ জনের কারাদণ্ড
সোনালী ব্যাংকের ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় সাবেক সাত কর্মকর্তাসহ ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাকারিয়া হোসেন গতকাল সোমবার এ রায় দেন। এদের সাতজনকে ৩ এবং চারজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের আনুপাতিক হারে পরিশোধ করতে হবে জরিমানার ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। পলাতক আসামিদের সাজা তাদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে কার্যকর হবে। দণ্ডপ্রাপ্তদের থেকে আত্মসাৎ করা টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
৩ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন– সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, সাবেক ডিএমডি মঈনুল হক, সাবেক জিএম ননীগোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, সাবেক ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান। ১০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন– খানজাহান আলী সোয়েটারের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মোল্লা, এমদাদুল হক শেখ এবং পরিচালক মীর মোহাম্মদ শওকত আলী ও রফিকুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন মঈনুল হক, মীর মহিদুর, সফিজ উদ্দিন ও কামরুল হোসেন খান। বাকি সাতজন পলাতক।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন হোটেল শেরাটন শাখা থেকে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।