ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত রাখার আবার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামীকাল সোমবার থেকে এ নিয়ন্ত্রণ শুরু হবে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দপ্তর থেকে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বইমেলা এবং রমজানের পর শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগামীকাল সোমবার থেকে আবার যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরেও একই ধরনের নির্দেশনা জারি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে বইমেলা ও রমজান মাস উপলক্ষে এই নির্দেশনা শিথিল করেছিল।

আজকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্র, শনি ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা এবং অফিস খোলা থাকার দিনগুলো সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রবেশপথগুলোতে (শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, বার্ন ইউনিট, শিববাড়ী ক্রসিং, ফুলার রোড, পলাশী মোড় ও নীলক্ষেত) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি, জরুরি সেবা ছাড়া অন্য যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশের বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত থাকবে। তবে গণপরিবহন এবং ভারী যানবাহন প্রবেশ সব সময়ই নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

আরও পড়ুনহঠাৎ ক্যাম্পাসে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, যানজট, ভোগান্তি ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

জরুরি সেবার মধ্যে পড়বে অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক, রোগী, সাংবাদিক, রাইড শেয়ার, খাবার গাড়ি, অনলাইন শপিং বাহনসহ অন্যান্য সরকারি গাড়ি। তবে অংশীজনদের মতামত, পরামর্শ এবং বাস্তব অবস্থার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত সময়–সময় পুনর্মূল্যায়ন হতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনঢাবি ক্যাম্পাসে যান নিয়ন্ত্রণের আসল উদ্দেশ্য কী২৮ ডিসেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় দুই মাসে ২১৩ শ্রমিকের মৃত্যু

চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ২১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে পরিবহন খাতে। এ ছাড়াও নির্মাণ খাতে ৭ জন ও পোশাক খাতে ৩ জন শ্রমিক মারা গেছেন। এই দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে আহত হয়েছেন ১৭০ জন।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে উল্লিখিত তিনটি খাতের বাইরে অন্যান্য খাতে ২১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একই সময়ে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন ৭০ জন পরিবহন খাতের, ১৮ জন নির্মাণ খাতের এবং ১২ জন পোশাক খাতের। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন অন্যান্য খাতের ৭০ জন শ্রমিক। জাতীয় দৈনিকগুলোয় প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে বিলস এ জরিপ পরিচালনা করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক স্মৃতি দিবস পালিত হয়। যেখানে কর্মক্ষেত্রে নিহত, পঙ্গু, আহত বা অসুস্থ হওয়া শ্রমিকদের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্মরণ করা হয়। বাংলাদেশেও গতকাল দিবসটি পালিত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ