যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর হাজির না হলে তাকে পলাতক অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে। রোববার সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন। 

টিউলিপের আইনজীবীর বক্তব্য নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সম্পর্কে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যেকোনো অভিযুক্তের পক্ষে আইনগত প্রতিনিধিত্ব একটি আদর্শ চর্চা হলেও, দুর্নীতির অভিযোগ আপসযোগ্য নয় এবং এটা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।

তিনি বলেন, চিঠি বিনিময় কখনো আদালতের প্রক্রিয়ার বিকল্প হতে পারে না।

টিউলিপ সিদ্দিক সম্প্রতি স্কাই নিউজকে বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তার দাবি, দুদকের কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

এ প্রসঙ্গে ড.

মোমেন বলেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণাদি আছে। নথিপত্র বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করার পর পূর্ণাঙ্গ চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি এখন আদালতের ওপর নির্ভর করবে। যদি পরোয়ানা জারির পর তিনি (টিউলিপ) হাজির হতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে পলাতক অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে। 

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, আদালতের সব নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেওয়া হবে।

স্কাই নিউজকে টিউলিপের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ব্যক্তির পরিচয় বা অবস্থান বিচার করে নয়, আইনি প্রক্রিয়া সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা হয়। এটি শুধু টিউলিপ সিদ্দিকের ক্ষেত্রে নয়, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকসহ অন্যান্য পলাতক আসামিদের ক্ষেত্রেও একই আইনি প্রক্রিয়া প্রযোজ্য হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট উল প স দ দ ক র র পর ট উল প

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল তরুণ আইনজীবীর

প্রায় আট মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী সুজন মিয়া (৩২)। পরিকল্পনা ছিল, বড় ভাইয়ের বিয়ের পর তিনি ধুমধাম আয়োজন করে স্ত্রীকে ঘরে তুলবেন। তার আগেই দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল তরুণ এই আইনজীবীর। গত রোববার জেলা শহরের পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন পৌর শহরের পূর্ব হিলালপুর গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে। হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। আদালত বর্জন করে সুজনের সহকর্মীরা এসব কর্মসূচি পালন করেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে আইনজীবী সমিতি।

জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইনজীবী সুজন ও তাঁর কয়েক বন্ধু পৌর কার্যালয়ের পাশে চটপটির দোকানে ফুচকা খাচ্ছিলেন। এ সময় পাঁচ-ছয় কিশোর হঠাৎ সুজনের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা করে। তাঁর বুকে একাধিক ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। সুজনকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 
সুজনের বড় ভাই সুমন মিয়া বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে তাঁর বিয়ে হয়। আমার বিয়ের পর অনুষ্ঠান করে সুজনের স্ত্রীকে ঘরে তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তা আর হলো না। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করব।’
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান জানান, হত্যাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ