বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমোদন পেল স্টারলিংক
Published: 6th, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম জায়ান্ট স্টারলিংক বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে। এখন আবেদনের মাধ্যমে এনজিএসও (নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) লাইসেন্স পেলেই বাংলাদেশে স্টারলিংকের কার্যক্রম শুরু হবে।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৯ এপ্রিল থেকে ঢাকায় ৪ দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এই সামিট স্টারলিংক ডিভাইস দিয়ে রান করা হবে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্টারলিংক সার্ভিস প্রোভাইড করবে। সম্মেলনের লাইভ প্রোগ্রামগুলো স্টারলিংকের মাধ্যমে দেখানো হবে।’
‘যারা সামিটে যাবেন তারা পার্সোনাল ডিভাইস স্টারলিংকে কানেক্ট করে এক্সপেরিয়েন্স করতে পারবেন’, বলেন তিনি।
বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর বিষয়ে আশিক চৌধুরী বলেন, ‘অনুমোদনের ক্ষেত্রে স্টারলিংক বিডা রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করেছিল। বিডা রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে। তাদের পরবর্তী ধাপ এনজিএসও লাইসেন্স। আজকে তারা সেটার আবেদন করতে পারে। আমরা চেষ্টা করব দ্রুত সময়ের মধ্যে এনজিএসও লাইসেন্স দিয়ে দিতে।’
'এ লাইসেন্স পাওয়ার পরদিন থেকেই স্টারলিংক কমার্শিয়াল অপারেশনে যেতে পারবে। সরকারের পক্ষ থেকে কমিটমেন্ট ছিল ৯০ দিনের মধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরুর ব্যবস্থা করা। লাইসেন্স দেওয়া হয়ে গেলে তাদের জন্য ইটস রেডি টু গো,' বলেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে ‘ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে এইচএসএফ
কিউ লিপের পরিকল্পনায় ‘ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে হিউম্যান সেফটি ফাউন্ডেশন (এইচএসএফ)। রোববার বিকেলে ফরিদপুর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুর জেলায় নতুন উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, কীভাবে পরিবেশবান্ধব ব্যবসা শুরু করা যায়। একই সঙ্গে তরুণদের পরিবেশ আইন বিষয়ে সচেতন করা হবে।
প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরে ডেপুটি ডিরেক্টর মো. সাঈদ আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘ফরিদপুরে বায়ুদূষণ বেশি হচ্ছে। তাই বায়ূদূষণ রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সাঈদ আনোয়ার বলেন, ‘ফরিদপুরে ২০০-২৫০ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। উৎপন্ন হচ্ছে মেডিকেল বর্জ্য।’ তাই ফরিদপুরে একটি মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট দরকার বলে জানান তিনি।
এইচএসএফ'র চেয়ারম্যান এম এ মুকিত বলেন, ‘ই-বর্জ্য আমাদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি, তাই এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।’
কিউ লিপের সিইও জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পটি আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই, ফরিদপুর শহরকে সবুজ এবং পরিস্কার করতে চাই। পরিবেশ বান্ধব ফরিদপুর শহর করতে চাই।’
এইচএসএফ'র প্রধান নির্বাহী মো. বোরহানুল আশেকীন বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় এ সংক্রান্ত আইন জানতে হবে, মানতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তরুণ উদ্যোক্তরা অংশ নেন, যারা নিজেদের অভিজ্ঞতা এবং পরিবেশ রক্ষায় তাদের করণীয় সম্পর্কে অবগত হন।