ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করা মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে নাটোরের লালপুর উপজেলায় তিনটি পরিবহনকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে লালপুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান।
জরমিানা করা বাসগুলো হলো- সুপার সনি, বাংলা স্টার ও বাঘা পরিবহন। প্রতিটি বাসেকে ৮ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
মানহীন পাতা সংগ্রহ, চা কারখানাকে জরিমানা
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, লালপুর থেকে ঢাকাগামী বাসের নির্ধারিত ভাড়া ৬০০ টাকা। ঈদের পর যারা ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছেন তাদের কাছ থেকে এই পরিবহনগুলো ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছিল।
ইউএনও মেহেদী হাসান বলেন, “সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যাতে পরিবহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত অভিযান চলবে। ভবিষ্যতে এমন অভিযোগ পেলে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রক্তাক্ত ভ্যানচালককে নিজের গাড়িতে হাসপাতালে নিলেন ইউএনও
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মহাসড়কের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন এক ভ্যানচালক। এ সময় সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। ভ্যানচালকের এ অবস্থা দেখে তিনি নিজের গাড়িতে করে তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। আজ শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।
ভ্যানচালক মো. মানিক মিয়া (৪০) কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার জগদল গ্রামের বাসিন্দা। ভ্যানগাড়ি নিয়ে তিনি ভাঙারি জিনিসপত্র কিনতেন। আজ সকালে হোসেনপুর-গফরগাঁও আঞ্চলিক মহাসড়কের পাঁচবাগ ইউনিয়নের খোরশিদ মহল সেতুর কাছাকাছি এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মানিক মিয়া।
সকাল পৌনে ৯টার দিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নান পরিদর্শনে খোরশিদ মহল সেতু এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে যাচ্ছিলেন ইউএনও এন এম আবদুল্লাহ-আল-মামুন। এ সময় তিনি দেখতে পান, বিপরীত লেনে একটি ভ্যান উল্টে আছে, অচেতন ভ্যানচালককে শুশ্রূষার চেষ্টা করছেন কয়েকজন। যানবাহন না পাওয়ায় ভ্যানচালককে হাসপাতালে নেওয়া যাচ্ছিল না। পরে সেখান থেকে নিজের গাড়িতে করে ভ্যানচালককে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন ইউএনও। হাসপাতালে নেওয়ার পর ভ্যানচালকের মাথায় পাঁচটি ও ঠোঁটে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়। ভ্যানচালকের মুঠোফোন নম্বর থেকে পরিবারকেও খবর দিলে তাঁরা হাসপাতালে যান। পরে পরিবারের কাছে ভ্যানচালককে হস্তান্তর করেন ইউএনও।
পুরো ঘটনা তুলে ধরে আজ দুপুরে গফরগাঁও উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা হয়েছে। ইউএনওর এমন মানবিক কাজের প্রশংসা করছেন অনেকে। মন্তব্যের ঘরে মাহমুদা সুলতানা নামে এক নারী লিখেছেন, ‘অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করার মাঝেই থাকে অনেক শান্তি। আপনাকে (ইউএনও) অনেক ধন্যবাদ।’ হাবিবুর রহমান একজন লেখেন, ‘স্যার, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে যে মানবিক দায়িত্ব পালন করলেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। মহৎ কাজের জন্য শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।’
গফরগাঁওয়ের ইউএনও এন এম আবদুল্লাহ-আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, আহত ব্যক্তি মনে করতে পারছেন না। মাথায় আঘাত পাওয়ায় তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, মানবিকতার ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ একজন মানুষের জন্য কাজ করতে পারায় তিনি শান্তি পাচ্ছেন।