শক্তিতে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। সমান সমান বলাই যায়। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইকে ঘিরে তাই বাড়তি কিছুটা উন্মাদনা ছড়াচ্ছিল।
শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হেসেছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। ছাড় দেয়নি ধানমন্ডিও। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়েছে তারা। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব ৯ উইকেটে ২৫৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ৪৯.
তাদের জয়ের নায়ক নাঈম ইসলাম। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ৬৭ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৬৮ রান করেন। এছাড়া খালিদ হাসান ৪২, আজিজুল হাকিম তামিম ৩৯ রান করে রাখেন অবদান।
আরো পড়ুন:
শান্তদের জিম্বাবুয়ে সিরিজের ক্যাম্পে ছাড়তে চায় না ক্লাবগুলো
তাইজুল জাদুর পর অলরাউন্ডার মিরাজে মোহামেডানের বড় জয়
ম্যাচের শেষ দিকে নাঈম আউট হলে কিছুটা রোমাঞ্চ ছড়ায়। ৪৮তম ওভারের শেষ দিকে নাঈমকে আউট করেন আনামুল। শেষ ১২ বলে ৭ রান প্রয়োজন ছিল তাদের। ৪৯তম ওভারে মইন খান বোলিংয়ে এসে দেন মাত্র ১ রান। মোহাম্মদ ইলিয়াস প্রথম বলে ১ রান নেন। পরের ৫ বলে সোহেল কোনো রান নিতে পারেননি।
তাতে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৬ রানের প্রয়োজন হয় গুলশানের। পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বী প্রথম বলে ইলিয়াসকে আউট করেন। তাতে কিছুটা চাপে পড়ে গুলশান। দ্বিতীয় বলে নতুন ব্যাটসম্যান নিহাদ নেন ১ রান। তৃতীয় বলে সোহেলের ব্যাট থেকে আসে আরো ১ রান। স্ট্রাইকে যাওয়া নিহাদ চতুর্থ বলে চার হাঁকালে জয়ের কাজটা সহজ হয়ে যায় গুলশানের।
লড়াকু পুঁজি নিয়ে ধানমন্ডিকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন বোলাররা। আনামুল, রাব্বী ও মইন খান ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পান মারুফ ও সানজামুল।
এর আগে ব্যাটিংয়ে তাদের হয়ে হাল ধরেন ফজলে মাহমুদ রাব্বী। তিনে নেমে রাব্বী ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৫ রান করেন। এছাড়া হাবিবুর রহমান ৩২, ইয়াসির আলী ২৮ ও নুরুল হাসান ২৪ রান করেন। শেষ দিকে রাব্বীর ২৩ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ২৯ রানের সুবাদে তাদের রান আড়াইশ পেরিয়ে যায়। কিন্তু স্কোরবোর্ডে এই রান জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
বোলিংয়ে গুলশানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন মাহেদী হাসান ও আসাদুজ্জামান পায়েল। ২ উইকেট পেয়েছেন ইলিয়াস।
নয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে গুলশান পয়েন্ট টেবিলে চারে উঠে এসেছে। সমান ম্যাচে ধানমন্ডির এটি ষষ্ঠ হার।
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধ নমন ড র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
পতনের ধারা থেকে ঘুরে দাঁড়াল শেয়ারবাজার
লাগাতার পতনের ধারা থেকে হঠাৎ উল্টোমুখী হয়েছে শেয়ারবাজার। টানা দশম দিনে ব্যাপক দর পতনে দিনের লেনদেন শুরু হয়েছিল। দুপুর ১২টায় তালিকাভুক্ত ৫৮ কোম্পানির শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২৭৮টির দর পতনে লেনদেন চলছিল। দুপুর আড়াইটায় দিনের লেনদেন শেষ হয় ৯৯ শেয়ারের দরহ্রাসের বিপরীতে ২৩৫টির দরবৃদ্ধি দিয়ে।
নাটকীয় এ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবির আগ্রাসী শেয়ার ক্রয় বড় ভূমিকা রেখেছে বলে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। আইসিবির একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবারের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম টাকার শেয়ার কেনা হয়েছে। এদিন কোনো শেয়ার বিক্রি করা হয়নি।
ডিএসইর লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৫৮ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৯১৪ পয়েন্টে নামে। দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত সূচকটি ৪৯২০ পয়েন্টের নিচেই অবস্থান করছিল। এর পর ক্রমাগত কিছু শেয়ারের দরবৃদ্ধি বাজারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দুপুর সোয়া ২টায় সূচকটি দিনের সর্বনিম্ন অবস্থা থেকে ১০০ পয়েন্ট বেড়ে ৫০১৫ পয়েন্ট ছুঁইছুঁই অবস্থানে উঠে যায়। তবে শেয়ারদরের সমাপনী মূল্যের হিসাবে প্রায় ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ৪৯৯৫ পয়েন্টে থামে।
যেসব শেয়ারের দর ব্যাপকভাবে ঘুরেছে সেগুলোর অন্যতম হলো– খুলনা প্রিন্টিং, নিউ লাইন ক্লোথিংস, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, সেন্ট্রাল ফার্মা, কেয়া কসমেটিক্স। সম্পূর্ণ বা আংশিক বন্ধ এসব কোম্পানির শেয়ারের দর শুরুতে ৫ থেকে প্রায় ১০ শতাংশ পতনের পর শেষে ৮ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সূচকের পতন ঠেকিয়ে ঊর্ধ্বমুখী করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, লাফার্জ-হোলসিম, স্কয়ার ফার্মা, বসুন্ধরা পেপারসহ বেশ কিছু ব্যাংক কোম্পানির শেয়ার।
দিনের লেনদেন শেষে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এদিন ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৯৭ কোম্পানির শেয়ার ও ফান্ডের মধ্যে ৩৯৬টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৭টির এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৬২টির।