ঈদের ছুটি শেষে সরগরম দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। ঢাকা লিগের খেলা ইতিমধ্যে গড়িয়েছে মাঠে। এর মাঝে শুরু হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্ততি নিয়ে পরিকল্পনা।

কয়েক দিনের মাঝে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজকে ঘিরে, সিলেটে শুরু হবে জাতীয় দলের ক্যাম্প। প্রথম টেস্ট শুরুর আগে প্রায় ১০ দিন ক্যাম্প হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু একই সময়ে ঢাকা লিগ চলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের এখনই ছাড়তে চায় না ক্লাবগুলো। ইতিমধ্যে আবাহনী-মোহামেডান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) অনুরোধ করেছে, শেষ সময় পর্যন্ত ক্রিকেটার ধরে রাখার ব্যাপারে।

ক্লাব সূত্র থেকে রাইজিংবিডি বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হয়েছে। ক্লাবের চাওয়া ক্রিকেটাররা, শেষ মুহুর্তে ক্যাম্পে যোগ দিক। ইতি মধ্যে বিসিবিকে চিঠিও দিয়েছে ক্লাব দুটি।

আরো পড়ুন:

ওয়াসিম-ইমরান পারলে তাসকিন কেন পারবে না, সুজনের প্রশ্ন

লাহোরকে চ্যাম্পিয়ন করানোর চ্যালেঞ্জ রিশাদের

আবাহনীতে আছেন টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক আর নাহিদ রানার মতো প্রথম সারির ক্রিকেটার। মোহামেডানে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, মুশফিকুর রহিম ও তাইজুল ইসলামরা।

তারা যদি আগেভাগে ক্যাম্পে যোগ দেন তাহলে দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়বে বলে মনে করে ক্লাবগুলো।  এখন পর্যন্ত ৯ রাউন্ড শেষে শীর্ষ দুই স্থানে আছে আবাহনী ও মোহামেডান। 

চলতি বছরের শুরু থেকে বাংলাদেশ ব্যস্ত সাদা বলের ক্রিকেটে। বিপিএল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর এখন চলছে ঢাকা লিগে। পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না নিয়ে মাঠে না নামকে প্রভাব পড়তে পারে পারফরম্যান্সে।

প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্নে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, “দেখুন আমরা ডিপিএলের ভেতরে আছি অনেক দিন থেকে। এটা ওয়ানডে টেস্টের মতোই প্রায়। টি-টোয়েন্টি না কিন্তু, যে এসেই মারতে হবে। আমরা টেস্টের আগে ১০ দিনের সময় পাবো। ঐ সময়ে আমরা নিজেদেরকে প্রস্তুত করে নিতে পারব।“

২০ এপ্রিল থেকে সিলেটে শুরু হবে জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম টেস্ট। ২৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হবে চট্টগ্রামে।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত

এছাড়াও পড়ুন:

সূর্যকুমার ও পান্ডিয়ার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের পরও মুম্বাইয়ের হা

তখন ম্যাচ শুরু হতে প্রায় ঘণ্টা খানেক বাকি। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টের একানা স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর কায়রন পোলার্ড একটা স্বারক জার্সি উপহার দিলেন ব্যাটসম্যান সূর্য কুমার যাদবকে। খানিক বাদে মাঠে গড়ানো লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল ‘স্কাই’ খ্যাত এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানের মুম্বাইয়ের জার্সিতে শততম। অষ্টম ক্রিকেটার হিসাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলে শততম ম্যাচ খেললেন সূর্যকুমার। তবে তার এই বিশেষ ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখতে পারল না মুম্বাই।

টস জিতে প্রথমে লক্ষ্ণৌকে ব্যাটিংয়ে পাঠান মুম্বাই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। মিচেল মার্শ, এডিন মার্করাম ও ডেভিড মিলারের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান সংগ্রহ করে লক্ষ্ণৌ। জবাব দিতে নেমে ২.২ ওভার শেষে সফরকারী দলটির সংগ্রহ ছিল ২ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করে তারা । তিনে নামা নামন ধীর ও মুম্বাইয়ের জার্সিতে শততম ম্যাচ খেলতে নামা সূর্যকুমারের ব্যাটিংয়ে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় অতিথি দলটি। তবে সেটা যথেষ্ট ছিল না জয়ের জন্য। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানেই থামে মুম্বাইয়ের ইনিংস। ১২ রানের জয় পায় লক্ষ্ণৌ।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লক্ষ্ণৌর ওপেনার মার্শ একাই রান তুলতে থাকেন। ৯ চার ও ২ ছক্কায়, ৩১ বলে ৬০ রান করে, সপ্তম ওভারের শেষ বলে মার্শ সাজঘরে ফিরেন। তখন আরেক ওপেনার মার্করামের রান মাত্র ১৪! টপ অর্ডারে এই দুই ব্যাটার ছাড়া আর কেউ রান পাননি। নিকোলাস পুরান করেন ১২। এই ম্যাচেও ব্যর্থ হন ঋষভ পন্থ। করেন মাত্র ২ রান।

আরো পড়ুন:

স্টার্ক-ডু প্লেসিস-ম্যাকগার্কে হায়দরাবাদকে হারালো দিল্লি

প্রায় ১৮ বছর পর ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের ‘অন্যরকম’ হার

তবে আয়ুশ বাদোনিকে নিয়ে সেই চাপ সামলে নেন মার্করাম। গড়েন ৫১ রানের জুটি। ৪টি চারে বোদানি ১৯ বলে করেন ৩০ রান। এরপর স্বদেশী মিলারকে সাথে নিয়ে নিজের সহজাত ব্যাটিং করে যান মার্করাম। এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৫৩ রান করেন। অন্যদিকে কিলার খ্যাত মিলারের অবদান ছিল ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৪ বলে ২৭ রান। বল হাতে মুম্বইয়ের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট নেন কাপ্তান হার্দিক। একটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, অশ্বনী কুমার, ভিগনেশ পুথুর।

ম্যাচ শুরু আগে অনুশীলনে চোট পাওয়ায় এই ম্যাচে ছিলেন না রোহিত শর্মা। তার বদলি হিসেবে ওপেনিংয়ে খেলা উইল জ্যাকস করেন মাত্র ৫ রান। রায়ান রিকেলটনের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। ধীর বেশ দাপুটের সঙ্গেই খেলছিলেন। তবে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায়, ২৪ রানে ৪৬ রানে থামতে হয় তাকে। সূর্যকুমার নিজের চেনা ছন্দে খেলে ৪৩ বলে ৬৭ রান করেন। স্কাই তার ইনিংস সাজান ৯ চার ও ১ ছক্কায়। তিনি ফেরার পরেই রানের গতিটা কমে যায়।

তিলক বর্মা চেষ্টা করলেও রাতটা তাঁর জন্য ছিল না। ২৩ বলে ২৫ রান করার পর মুম্বাই ম্যানেজম্যান্ট তাকে রিটার্য়াড হার্ট করায়। শেষে হার্দিক ১৬ বলে ২৮ রান করলেও পারেননি দলকে জেতাতে। শেষ তিন ওভারে রানের পাহাড় চেপে দিয়ে বাজিমাত করে লক্ষ্ণৌ। আকাশ দীপ, শার্দূল ঠাকুর ও আবেশ খানরা নেন ১টি করে উইকেট।

আসরে এখন পর্যন্ত সমান ৪টি করে ম্যাচ খেলেছে এই দুই দল। যেখানে লক্ষ্ণৌর জয় ২টিতে। অন্যদিকে মাত্র ১টি ম্যাচ জিতে রীতিমত ধুঁকছে মুম্বাই।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে অগ্রণী ব্যাংককে জেতালেন তাইবুর
  • ইউনাইটেড সমর্থকদের ‘ক্লাসলেস’ বললেন গার্দিওলা
  • অ্যালেন স্বপন ফিরলেন, রোমাঞ্চ ফিরল কি
  • প্রস্তুতি ম্যাচে প্রত্যাশিত ফল
  • ই-বাইক
  • হাইব্রিড সোলারে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ
  • আবাহনীর রেকর্ড গড়া জয়ের নায়ক মোসাদ্দেক
  • সূর্যকুমার ও পান্ডিয়ার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের পরও মুম্বাইয়ের হা
  • ৩ কোটি টাকায় ১ রান, ফেরারির দামে অটোরিকশার পারফরম্যান্স