অনিয়ম ও ঘুষের অভিযোগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিউদ্দিন খানকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে তাকে ক্লোজড করা হয়। গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিরীহ মানুষকে মামলার আসামি করার ভয় দেখিয়ে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠে শফিউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে। এমনকি, এক ইউপি সদস্যের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার বিষয়ে একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। তবে এর ৪৮ ঘণ্টা পার না হতে তদন্তের স্বার্থে তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। 

আরো পড়ুন:

বাড়িতে প্রেমিকের রক্ত ছিটিয়ে নিখোঁজের নাটক

ডাবল মার্ডারে গ্রেপ্তার, তাহসিন হত্যাকাণ্ডে রিমান্ডে ছোট সাজ্জাদ

এ ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক শফিউদ্দিন খান তার বিরুদ্ধে আনিত অনিময় ও ঘুষের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, শফিউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে থানা থেকে ক্লোজড করা হয়েছে। 
 

ঢাকা/বাদল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠে ফিরেই নির্বাচকদের দিকে নাসিরের আঙুল

লাল সবুজের জার্সিতে নাসির হোসেন সবশেষ খেলেছেন ২০১৮ সালে। ক্যারিয়ার জুড়ে নানান বিতর্কের সঙ্গে টি-টেনে অসদচারণের জন্য আইসিসির নিষেধাজ্ঞা ইঙ্গিত দিয়েছিল তাঁর ক্যারিয়ারের ইতির। না, তা হয়নি।

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঢাকা লিগ দিয়ে নাসিরের প্রত্যাবর্তন ঘটে। সোমবার (৭ এপ্রিল) হোম অব ক্রিকেটে গাজী গ্রুপ-রূপগঞ্জ টাইগার্স ম্যাচ ছাপিয়ে ম্যাচটি হয়ে যায় নাসিরময়। পারফরম্যান্সে আলো ছাড়াতে পারেননি, তবে ফিরতে পেরেই নাসির ছিলেন উৎফুল্ল।

আরো পড়ুন:

শান্তদের জিম্বাবুয়ে সিরিজের ক্যাম্পে ছাড়তে চায় না ক্লাবগুলো

ওয়াসিম-ইমরান পারলে তাসকিন কেন পারবে না, সুজনের প্রশ্ন

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাসির কেবল নানা প্রশ্নের উত্তর দেননি, সংবাদমাধ্যমের কাজ কেমন হওয়া উচিত সেটিও বলেছেন অবলীলায়। নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে বলতে গিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর তৎকালীন নির্বাচক প্যানেলকে।

নাসির বলেন, “আমার মনে হয়, আপনি যখন নির্বাচক প্যানেলে থাকবেন... যদি বাইরের দেশে দেখেন, দুই বছর পরপর নির্বাচক প্যানেল বদলায়। ধরেন আমি নির্বাচক হিসেবে আছি। আমার চোখে কিন্তু সবাইকে সমান ভালো লাগবে না। এটাই স্বাভাবিক।”

“দুই বছর পরপর বদলালে, আমার চোখে যাকে ভালো লাগত না, অন্য কারও চোখে তাকে ভালো লাগতেও পারে। আপনি যদি এখন ৯-১০ বছর ধরে একই জায়গায় থাকেন, যাকে ভালো লাগবে না, তার তো ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গেল প্রায়। আমি মনে করি, আমার ক্ষেত্রে এই জিনিসটা হয়েছে। আমি যদি ৫টা সুযোগ পাই, বাকিদেরও ৫টা সুযোগই পাওয়া উচিত। এমন না হয় যেন, ওরা ২০টা সুযোগ পেল, আমি ৫টা সুযোগ পেলাম। আমার মনে হয়, আমার ক্ষেত্রে এই জিনিসটাই হয়েছে।”- আরো যোগ করেন নাসির। 

নিষিদ্ধ হওয়ার আগে ২০২৩ সালের বিপিএলে দুর্দান্ত খেলেছিলেন নাসির। ঢাকার জার্সিতে ১২ ম্যাচে নাসির ৩৬৬ রান করেছিলেন। ৪৫.৭৫ গড়ে ১২০ স্ট্রাইকরেটে ছন্দময় ব্যাটিং করেছেন পুরো আসর জুড়েই। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও সমান সাফল্য পেয়েছিলেন। ১২ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টে দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি।

এরপরেও পরবর্তীতে ইংল্যান্ড সিরিজে জায়গা হয়নি। কয়েক মাস পরেই আসে নিষেধাজ্ঞা। বাংলাদেশের হয়ে ১৯টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টেস্ট খেলেছেন নাসির। এখনো স্বপ্ন দেখেন জাতীয় দলের।

“আমার মনে হয় যারা ক্রিকেট খেলে, জাতীয় দলে খেলার জন্যই খেলে। আমিও স্বপ্ন দেখি। এটা বিশ্বাস করি, এখনও সুযোগ আছে। যদি পারফর্ম করতে পারি অবশ্যই জাতীয় দলে খেলতে পারব। আপনি পারফর্ম করলে সেটার মূল্যায়ন যদি ক্রিকেট বোর্ড করে, তাহলে আপনি পারফর্ম করতে পারবেন।”

এই প্রসঙ্গ আসতেই যেন নির্বাচক-বোর্ডকে এক প্রকার বার্তা দিয়ে রাখেন নাসির, “যদি দেখেন, যেবার আমি বিপিএল ভালো খেললাম, এরপর কিন্তু 'এ' দল বা টাইগার্স বা প্রস্তুতি ম্যাচ- কোথাও আমাকে ডাকেনি। তো আপনি যদি পারফর্ম করার পর এসব জায়গায় না ডাকে, তাহলে জাতীয় দলে কীভাবে খেলবেন? অবশ্যই স্বপ্ন দেখি জাতীয় দলে খেলার। এটা বিশ্বাস করি, পারফর্ম করলে অবশ্যই সুযোগ আসবে।”

নির্বাচকরা কি তাকে পছন্দ করতেন না? নাসিরের স্পষ্ট উত্তর, “হইতে পারে। আমার কাছে তা-ই (পছন্দ হয়নি দেখে সুযোগ পাইনি) মনে হয়।”

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ