গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ
Published: 6th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনের প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) জোহরের নামাজ শেষে ফেনী শহরের জহিরিয়া মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। ফেনী জেলা ভলেনটিয়ার ফ্যামিলি এই মিছিলের আয়োজন করে।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা এসময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন জাতিসংঘ জবাব চাই’, ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর’ বলে স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
বেঁদেপল্লীতে যুবককে হত্যা: ওসির অপসারণ দাবি
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাদের লজ্জা হয় যে, আমরা এখনো এই বর্বরতার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারিনি। গাজায় যা হচ্ছে তা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক মহলের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
ফেনী জেলা ভলেনটিয়ার ফ্যামিলির প্রতিনিধি ওসমান গনি রাসেল বলেন, “গাঁজায় গণহত্যা চলছে।”
সংগঠনটির অপর প্রতিনিধি নুর নবী হাসান বলেন, “মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ভূমিকা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। এই অবস্থায় বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষের ঐক্য ছাড়া মুক্তির পথ নেই।”
ঢাকা/সাহাব/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমার মেয়ে বিদায়ী সৌদি রাষ্ট্রদূতের দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি
‘সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের প্রতারণার শিকার আমার মেয়ে মেঘনা। ছয় মাস ধরে তার সঙ্গে মেয়ের ঘনিষ্ঠতা। তার দুই থেকে তিন মাস আগে থেকে তাদের মধ্যে পরিচয়।’ মডেল মেঘনা আলমেরব বাবা বদরুল আলম সমকালকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মেঘনা ‘মিস বাংলাদেশ’ নামে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেছিল। তার মাধ্যমে দেশে–বিদেশে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে অনেক বিশিষ্টজন, গুণী লোকজন আসতেন। ঢাকায় সেই ধরনের একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সব জানেন। তিনি দু’জনকে সহযোগিতা করেন। এরপর মেঘনার সঙ্গে বিদায়ী দূতের মধ্যে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। একপর্যায়ের প্রেমের সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এরপর বিয়ে করতে চান। গত ৪ ডিসেম্বর মেঘনা ও দুহাইলানের আংটি বদল হয়েছিল বলে দাবি করেন বদরুল। তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তিনি।
বদরুল বলেন, মেঘনার বসুন্ধরার বাসায় আসা–যাওয়া ছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের। সম্পর্কের একপর্যায়ে মেঘনা জানতে পারে তার স্ত্রী ও ছেলে–মেয়ে রয়েছে। তখন সে আংটি ফেরত দেয়। সে কারো দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি। সৌদি দূতের স্ত্রীকে ঘটনাটি জানায়। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত। হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মেঘনা ফেসবুক এ সম্পর্কে কিছু লেখা পোস্ট করেন। এরপরই মেঘনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন দুহাইলান।
মেঘনার বাবা আরও বলেন, প্রতারণার শিকার হয়েছে এটা জেনেও মেঘনা চেয়েছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূত তার কাছে এসে দুঃখ প্রকাশ করুক। কিন্তু সেটা করেননি তিনি। উল্টো বিনা অপরাধে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে। বিষয়টির সমঝোতার চেষ্টা করা হলে শেষ পর্যন্ত হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে বদরুল বলেন, কেন আমার মেয়ে তাকে ফাঁসাবে। যদি সে অন্যায় করত তাহলে তার বিরুদ্ধে তো সুনির্দিষ্ট মামলা হত। আইন সবার জন্য সমান। আমরা এখন ন্যায় বিচার চাই। সরকার আমার মেয়ের নিরাপত্তা দেবে এটা আমার দাবি।
মেঘনার বাবা বলেন, নর্থ–সাউথে পড়াশোনার সময় বসুন্ধরা একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে মেঘনা থাকত। সেখানে মাঝে মাঝে আমরা যেতাম। পরিবারের অন্যরা বেইলী রোডে থাকি।