ব্রোঞ্জের পর এবার রুপা জিতলেন সামিউল
Published: 6th, April 2025 GMT
থাই ওপেন সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে গতকালের চেয়ে আজ আরও ভালো করেছেন সামিউল ইসলাম। গতকাল ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ব্রোঞ্জপদক জেতেন বাংলাদেশের এই সাঁতারু। আজ ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে জিতেছেন রুপা।
৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে রুপা জিততে সামিউল সময় নিয়েছেন ২৭.১৭ সেকেন্ড। এই ইভেন্টে এটাই তাঁর ক্যারিয়ার–সেরা টাইমিং। এর আগে ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে সামিউলের টাইমিং ছিল ২৭.
এর আগে গতকাল ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ব্রোঞ্জ জিততেও ক্যারিয়ার–সেরা টাইমিং করেছেন সামিউল। তাঁর সময় লেগেছে ৫৮.৯০ সেকেন্ড। এত দিন তাঁর সেরা টাইমিং ছিল ৫৮.৯৫ সেকেন্ড। ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে সোনা জেতা থাই সাঁতারুর টাইমিং ছিল ৫৬.৯৩ আর রুপা জেতা হংকংয়ের সাঁতারুর টাইমিং ৫৭.৮৪।
বিশ্ব সাঁতার ফেডারেশনের বৃত্তি নিয়ে থাইল্যান্ডে আছেন সামিউল। সেখানে মূলত উন্নত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। থাই ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপের পর এ মাসেই মালয়েশিয়ান ওপেন সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবেন বাংলাদেশের তরুণ সাঁতারু।
মালয়েশিয়ায় সামিউলের লক্ষ্য সোনা জয়। ২৪ থেকে ২৭ এপ্রিল কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ান ওপেন সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ডেনমার্ক, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, তাজিকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ঘানাসহ বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশ থেকে সাঁতারুরা অংশ নেবেন।
গত বছর মালয়েশিয়ায় হওয়া এ প্রতিযোগিতায় রুপা জিতেছিলেন সামিউল। এবার আরও বড় লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে থাইল্যান্ড থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘টাইমিংয়ে কিছুটা উন্নতি করতে পেরে ভালো লাগছে। আসলে থাই চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য আমি আলাদাভাবে কোনো প্রস্তুতি নিইনি। আমার লক্ষ্য মালয়েশিয়ায় সোনা জেতা। বলতে পারেন, সেই টুর্নামেন্টের আগে এটা একটা প্রস্তুতি। তবে নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে পেরেই ভালো লাগছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নশ প ন স ম উল
এছাড়াও পড়ুন:
রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে ফুলবিঝু উৎসব
ফুল বিজু উৎসবে রমনার লেকে ফুল ভাসিয়ে পার্বত্যবাসীর মঙ্গল কামনা করে পার্বত্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “আমাদের অনাগত দিনগুলো যেন ভালোভাবে আসে। আমাদের সকলের মাঝে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারি, এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ যাতে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, পাহাড়ি-বাঙালি যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাঝে মিলেমিশে থাকে এবং তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারি সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।”
শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স থেকে রমনা পার্ক লেকে র্যালিসহ ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ফুল বিঝু উৎসব পালন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।
পার্বত্য জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’ বিহু, বিঝু, বিষু, বৈসু, চাংক্রান, সাংক্রান, সাংগ্রাইন, সাংগ্রাইং উৎসব উদযাপন এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিকী এবারের বিজু অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা সবাই হাতে হাত ধরে এদেশকে এবং এ জাতিকে উন্নতির শীর্ষে নিযে যেতে চাই- এটাই আমার আজকের দিনের প্রত্যাশা।”
তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা পার্বত্য চট্টগ্রামে আসুন, দেখুন আমরা একত্রে পার্বত্যবাসীর উন্নয়নের জন্য কী করতে চাই। আমাদের এ অনুষ্ঠান একটি ইনক্লুসিভ অনুষ্ঠান। আমরা গর্বিত ও আনন্দিত যে, পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসী আপনারা সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ র্যালিতে যোগ দিয়েছেন ও একত্রিত হয়েছেন।”
তিনি এজন্য আগত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উপদেষ্টা বলেন, “পার্বত্যবাসীদের জন্য ভবিষ্যতে আরো কিছু করে যেতে চাই। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নতি করতে চাই।”
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক বলেন, “আনন্দঘন পরিবেশে উপদেষ্টা মহোদয়ের সহযোগিতায় আমরা এখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা, তঞ্চংগা, খুমি, বোম, খিয়াং ও বাঙালিসহ অন্যান্য সবাই মিলে আজ খুশির এ উৎসব পালন করতে পেরেছি। এ উৎসবে বাঙালি ও পাহাড়িরা একাকার। সবাই আমরা একাত্ম হয়ে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেছি। নেচে গেয়ে আনন্দে শামিল হয়েছি। এ ধরনের সেতু বন্ধন আমাদের মধ্যে অটুট থাকুক।”
র্যালি অনুষ্ঠানে ঢাকায় বসবাসকারী তিন জেলার অধিবাসী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
ঢাকা/হাসান/সাইফ