অর্ধনগ্ন-বিকৃত ছবি ভাইরাল, দেব অনুরাগীদের বিরুদ্ধে বয়ান জিনিয়ার
Published: 6th, April 2025 GMT
গত জানুয়ারি মাসের ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়া চর্চার বিষয়বস্তু থেকে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী জিনিয়া সেন। অভিযোগ ছিল, দেব অনুরাগীদের কুরুচিকর আক্রমণের শিকার পরিচালক-প্রযোজক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। প্রতিবাদ করলে অশালীন আক্রমণের মুখে পড়তে হয় জিনিয়া সেনকেও।
ঘটনার পরপরই শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও জিনিয়া সেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারপর আবার জিনিয়ার ‘অর্ধনগ্ন-বিকৃত’ ছবি ছড়ানো হয়। তখন রবীন্দ্রসরোবর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরা। আর এবার সেই ঘটনায় আলিপুর আদালতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিজের বয়ান রেকর্ড করলেন চিত্রনাট্যকার-সাংবাদিক জিনিয়া সেন।
‘বহুরূপী’ সিনেমায় শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ফেসবুক থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তৃতীয় পক্ষের অ্যাপে মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং
বিকাশের মতো তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্মে উচ্চ মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির অভিযোগ এসেছে। ‘মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং: এ কল ফর রেগুলেটরি অডিট অ্যান্ড কনজিউমার প্রোটেকশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে মোবাইল অপারেটর অ্যাপে তালিকাভুক্ত দাম এবং বাহ্যিক চ্যানেলের মাধ্যমে চার্জ করা মূল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এ তথ্য ফেসবুকে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্যাকেজগুলো অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি হারে বিক্রি হয়েছিল। মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে ৩০ দিনের ৪৫ জিবি ডেটা প্যাকের দাম ছিল ৪৯৭ টাকা, কিন্তু একই প্যাকটি বিকাশের মাধ্যমে ৫৯৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি।
১৯৮ টাকায় তালিকাভুক্ত একটি ৭ দিনের ২৫ জিবি প্যাক বিকাশের মাধ্যমে একই দামে ২০ জিবি প্যাক হিসাবে বিক্রি হয়েছিল, যা ৮০ শতাংশ ওভারচার্জ।
২২৭ টাকা মূল্যের একটি সাত দিনের ৪০ জিবি প্যাক বিকাশে একই মূল্যের জন্য ৩৫ জিবি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ভিত্তি মূল্যের তুলনায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি।
৭ দিনের ১০ জিবি এবং ৩-দিনের ৫ জিবি বিকল্পগুলোসহ অন্যান্য প্যাকেজগুলোও ৫৫ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জে বিক্রি হয়েছে।
ফয়েজ আহমেদ লেখেন, বিটিআরসিতে সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের অধীনে একটি সুষ্পষ্ট প্রাইসিং রেগুলেশন রয়েছে। তার তোয়াক্কা না করে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত প্রাক্কলন অতিরিক্ত মূল্য আদায় গ্রাহকস্বার্থ ও রাষ্ট্রের সার্বিক স্বার্থবিরোধী বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের রেগুলেটরি শাস্তির মুখোমুখি করা দরকার বলে।