বাংলাদেশের জার্সিতে হামজা দেওয়ানে চৌধুরীর আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে গত মাসেই, ভারতের মাটিতে। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমে নজর কাড়েন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই মিডফিল্ডার। এবার ঘরের মাঠে অভিষেকের অপেক্ষায় হামজা। আগামী ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর। ম্যাচটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, এখনো চূড়ান্ত হয়নি ভেন্যু।

জাতীয় স্টেডিয়াম এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের উপযোগী করে তুলতে শেষ ধাপে রয়েছে সংস্কার কাজ। রোববার (৬ এপ্রিল) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা দেখছেন না তিনি।

তিনি বলেন, 'মাঠের কাজ প্রায় শেষ। তাবিথ ভাইয়ের (বাফুফে সভাপতি) সঙ্গে কথা হয়েছে। বাফুফে ঘাসের কিছু কাজ করছে। আমাদের লাইটিং ও অন্যান্য কাজও প্রায় শেষ। আশা করছি এক মাসের মধ্যেই মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। খেলায় কোনো সমস্যা দেখছি না।'

এদিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের সময় মাঠ পরিদর্শনে আসেন বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদউদ্দিন চৌধুরি হ্যাপি এবং সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। তারা জানান, বাফুফে মাঠের কাজ দ্রুত শুরু করতে চায়। সোমবার থেকেই মাঠ প্রস্তুতের কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে এবং আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে মাঠ অন্য কাউকে বরাদ্দ না দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

মাঠ সংস্কারের পাশাপাশি ম্যাচ আয়োজনের অন্যান্য দিকও বিবেচনায় রেখেছে ফেডারেশন। আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার জন্য নির্ধারিত ম্যাচ কমিশনারের কক্ষ নেই জাতীয় স্টেডিয়ামে। এছাড়া ড্রেসিংরুমের আসন নিয়েও রয়েছে কিছু আপত্তি। এসব ফেডারেশন নিজ উদ্যোগেই সমাধানের চেষ্টা করছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তৃতীয় পক্ষের অ্যাপে মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং

বিকাশের মতো তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্মে উচ্চ মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির অভিযোগ এসেছে। ‘মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং: এ কল ফর রেগুলেটরি অডিট অ্যান্ড কনজিউমার প্রোটেকশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে মোবাইল অপারেটর অ্যাপে তালিকাভুক্ত দাম এবং বাহ্যিক চ্যানেলের মাধ্যমে চার্জ করা মূল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এ তথ্য ফেসবুকে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্যাকেজগুলো অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি হারে বিক্রি হয়েছিল। মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে ৩০ দিনের ৪৫ জিবি ডেটা প্যাকের দাম ছিল ৪৯৭ টাকা, কিন্তু একই প্যাকটি বিকাশের মাধ্যমে ৫৯৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি।

১৯৮ টাকায় তালিকাভুক্ত একটি ৭ দিনের ২৫ জিবি প্যাক বিকাশের মাধ্যমে একই দামে ২০ জিবি প্যাক হিসাবে বিক্রি হয়েছিল, যা ৮০ শতাংশ ওভারচার্জ।

২২৭ টাকা মূল্যের একটি সাত দিনের ৪০ জিবি প্যাক বিকাশে একই মূল্যের জন্য ৩৫ জিবি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ভিত্তি মূল্যের তুলনায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি।

৭  দিনের ১০ জিবি এবং ৩-দিনের ৫ জিবি বিকল্পগুলোসহ অন্যান্য প্যাকেজগুলোও ৫৫ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জে বিক্রি হয়েছে।
ফয়েজ আহমেদ লেখেন, বিটিআরসিতে সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের অধীনে একটি সুষ্পষ্ট প্রাইসিং রেগুলেশন রয়েছে। তার তোয়াক্কা না করে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত প্রাক্কলন অতিরিক্ত মূল্য আদায় গ্রাহকস্বার্থ ও রাষ্ট্রের সার্বিক স্বার্থবিরোধী বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের রেগুলেটরি শাস্তির মুখোমুখি করা দরকার বলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ