ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘বরবাদ’ সিনেমা। মুক্তির পর থেকেই আলোচনার তুঙ্গে রয়েছে শাকিব খান অভিনীত এই সিনেমা। মুক্তির সপ্তম দিনে সিনেমাটির ভারতীয় ডিওপি শৈলেশ আওয়াস্থি তার ক্রেডিট না দেওয়ার অভিযোগ এনে পরিচালকের পোস্টে মন্তব্য করেন।

শৈলেশ আওয়াস্থির ভাষ্য ছিল, পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয় ক্রেডিট লাইনে তার নাম রাখেননি! এরপর বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা শুরু হয়। তবে বিষয়টিকে এখন ‘স্রেফ ভুল বোঝাবুঝি’ বলে মন্তব্য করেছেন শৈলেশ।

এ নিয়ে শৈলেশ তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন শৈলেশ। পরিচালক ও প্রযোজকের সঙ্গে একাধিক ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, “পরিচালক হৃদয় আমার ছোট ভাই। একটি ভুল যোগাযোগের কারণে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল, যা সম্পূর্ণরূপে সমাধান করা হয়েছে। আমরা পরিবারের মতো। তাই পরিবারের মধ্যে মত-বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু পরের মুহূর্তেই আমরা ভাইয়ের মতো বসে খাবার ভাগাভাগি করি। এটাই আমাদের বন্ধন।”

আরো পড়ুন:

‘বরবাদ’ সিনেমা নিয়ে ভারতীয় সিনেমাটোগ্রাফারের চাঞ্চল্যকর তথ্য

‘চাঁদ মামা’ গানে শেহতাজের নানির নাচ (ভিডিও)

অনুরোধ জানিয়ে শৈলেশ লেখেন, “দুর্ভাগ্যবশত কিছু ব্যক্তি তাদের নিজস্ব সুবিধার জন্য পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি সকলকে অনুরোধ করছি, দয়া করে, বরবাদ চলচ্চিত্রটিকে ঘিরে অপ্রয়োজনীয় সমস্যা তৈরি করবেন না। আমি গর্বের সাথে বরবাদের সাথে ডিওপি হিসেবে যুক্ত থেকে সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে আমার কাজ করছি।”

“একজন ডিওপি-এর ভূমিকা স্বাভাবিকভাবেই সৃজনশীল ইনপুট দিয়ে থাকে যা কাজের অংশ। তাই আসুন যেটি ছড়িয়েছে সেটি গুজব পর্যন্ত রাখা হোক। পরিচালক হিসেবে হৃদয় একটি দুর্দান্ত কাজ করেছেন এবং আমি তার প্রচেষ্টাকে আন্তরিকভাবে সম্মান করি।” লেখেন শৈলেশ।

সবশেষে প্রযোজককে ধন্যবাদ দিয়ে শৈলেশ লেখেন, “আমাদের প্রযোজক শারমিন এবং আজিম ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ তারা পুরো চিত্রগ্রহণ প্রক্রিয়া জুড়ে মা এবং বাবার মতো আমাদের সমর্থন করেছেন। তাদের আস্থা এবং যত্ন আমাদের বড় স্বপ্ন দেখতে এবং জীবনের চেয়েও বড় একটি চলচ্চিত্র তৈরি করতে সাহায্য করেছে। অনলাইন মিডিয়ার কাছে আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, দয়া করে গুজব ছড়াবেন না বা সস্তা প্রচারের জন্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। আসুন আমরা সবাই ঐক্য, সৃজনশীলতা এবং সিনেমার প্রতি ভালোবাসার চেতনায় একসাথে কাজ করি। বাংলা সিনেমা দীর্ঘজীবী হোক।”

এদিকে, মুক্তির পর থেকে সারাদেশে রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করছে ‘বরবাদ’। রাজধানীসহ দেশের সব সিনেপ্লেক্স ও মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তির সাত দিন পরও টিকিটের জন্য দর্শকদের চাপ দেখা যাচ্ছে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম দ র বরব দ

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টার আহ্বান

পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও দুদেশের মধ্যে যে বাণিজ্য তা প্রত্যাশিত নয়। কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্য লক্ষ্য অর্জনে দুদেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

সোমবার ঢাকায় একটি হোটেলে পাকিস্তান-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক শক্তিশালী এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দুই দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্য সংস্থাগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপন, বাণিজ্য প্রসার এবং বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এটি কাজ করবে। এ সময় তিনি দুদেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও দুদেশের মধ্যে যে বাণিজ্য তা প্রত্যাশিত নয়। কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্য লক্ষ্য অর্জনে দুদেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। দুই দেশের মধ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সেগুলো কীভাবে যৌক্তিক করা যায় সেটি আমাদের বের করতে হবে।

অনুষ্ঠানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার করতে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সঙ্গে পাকিস্তান রেডিমেড গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিআরজিএমইএ) সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।

বিজিএমইএ-এর পক্ষে প্রশাসক ও বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন এবং পিআরজিএমইএ ভাইস চেয়ারম্যান আমির রিয়াজ ছোট্টানি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান ও বিকেএমইএ-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ