আবাহনীর রেকর্ড গড়া জয়ের নায়ক মোসাদ্দেক
Published: 6th, April 2025 GMT
২০২২ সালের পর জাতীয় দলে খেলা হয়নি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের। ঘরোয়া ক্রিকেটেও তেমন আলো ছড়ানো পারফরম্যান্স নেই। হুটহাট জ্বলে উঠেন। আবার হারিয়ে যান অতলে। তাই বেশি আলোচনাতেও থাকেন না।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এবারের আসরেও গড়পড়তা পারফরম্যান্স তার। তবে রবিবার (৬ মার্চ) আবাহনী লিমিটেডের জয়ের নায়ক হয়েছেন তিনি। ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। বোলিংয়ে ৪ উইকেট নিয়ে আবাহনীকে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন এই অফস্পিনার।
ঈদের ছুটির পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ফেরার ম্যাচে আবাহনী ১০ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। বিকেএসপির-৩ নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শাইনপুকুর মাত্র ৮৮ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে আবাহনী মাত্র ৬.
আরো পড়ুন:
‘আমার দায়িত্ববোধের অভাব রয়েছে’- বড় ইনিংস খেলা নিয়ে তানজীদ
সুপার লিগের টিকিট পাওয়ার লড়াই
২৬০ বল হাতে রেখে জয় পায় তারা। যা এবারের লিগে সবচেয়ে বড় জয় (বল হাতে রেখে জয়ের হিসেবে)। এর আগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ দুইটি ম্যাচ জিতেছে যথাক্রমে ২৪৩ ও ২১৭ বল হাতে রেখে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এরচেয়েও বেশি বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড আছে। গত বছর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমিকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল ২৬২ বল হাতে রেখে। এছাড়া দেশের মাটিতে ২৬১ বলে জয়ের রেকর্ড আছে সিলেট বিভাগের। ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৮ উইকেটে তারা ম্যাচ জিতেছিল ২৬১ বল হাতে রেখে।
মোসাদ্দেক ৬ ওভারে ১ মেডেনে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রিপন মন্ডল ও রাকিবুল হাসান। ১ উইকেট নেন মাহফুজুর রাব্বী।
শাইনপুকুরের ব্যাটিং একদমই ভালো হয়নি। মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। এছাড়া দুই অঙ্কের ঘর ছুঁয়েছেন রহমতউল্লাহ আলী। ১০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের ঝড়ে উড়ে যায় শাইনপুকুর। মাত্র ২৩ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৬১ রান করেন পারভেজ। ১৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। যা দেশের ক্রিকেটে যে কোনো সংস্করণে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। এর আগে ২০১৯ সালে শুভাগত হোম ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে শাইনপুকুরের হয়ে মিরপুরে ১৬ বলে ফিফটি করেছিলেন। পারভেজের সঙ্গে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
নয় ম্যাচে আট জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী চলে গেছে সুপার লিগে। শাইনপুকুরের নবম ম্যাচে অষ্টম হার।
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ইনপ ক র র র কর ড উইক ট ন বল হ ত
এছাড়াও পড়ুন:
সূর্যকুমার ও পান্ডিয়ার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের পরও মুম্বাইয়ের হা
তখন ম্যাচ শুরু হতে প্রায় ঘণ্টা খানেক বাকি। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টের একানা স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর কায়রন পোলার্ড একটা স্বারক জার্সি উপহার দিলেন ব্যাটসম্যান সূর্য কুমার যাদবকে। খানিক বাদে মাঠে গড়ানো লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল ‘স্কাই’ খ্যাত এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানের মুম্বাইয়ের জার্সিতে শততম। অষ্টম ক্রিকেটার হিসাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলে শততম ম্যাচ খেললেন সূর্যকুমার। তবে তার এই বিশেষ ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখতে পারল না মুম্বাই।
টস জিতে প্রথমে লক্ষ্ণৌকে ব্যাটিংয়ে পাঠান মুম্বাই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। মিচেল মার্শ, এডিন মার্করাম ও ডেভিড মিলারের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান সংগ্রহ করে লক্ষ্ণৌ। জবাব দিতে নেমে ২.২ ওভার শেষে সফরকারী দলটির সংগ্রহ ছিল ২ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করে তারা । তিনে নামা নামন ধীর ও মুম্বাইয়ের জার্সিতে শততম ম্যাচ খেলতে নামা সূর্যকুমারের ব্যাটিংয়ে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় অতিথি দলটি। তবে সেটা যথেষ্ট ছিল না জয়ের জন্য। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানেই থামে মুম্বাইয়ের ইনিংস। ১২ রানের জয় পায় লক্ষ্ণৌ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লক্ষ্ণৌর ওপেনার মার্শ একাই রান তুলতে থাকেন। ৯ চার ও ২ ছক্কায়, ৩১ বলে ৬০ রান করে, সপ্তম ওভারের শেষ বলে মার্শ সাজঘরে ফিরেন। তখন আরেক ওপেনার মার্করামের রান মাত্র ১৪! টপ অর্ডারে এই দুই ব্যাটার ছাড়া আর কেউ রান পাননি। নিকোলাস পুরান করেন ১২। এই ম্যাচেও ব্যর্থ হন ঋষভ পন্থ। করেন মাত্র ২ রান।
আরো পড়ুন:
স্টার্ক-ডু প্লেসিস-ম্যাকগার্কে হায়দরাবাদকে হারালো দিল্লি
প্রায় ১৮ বছর পর ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের ‘অন্যরকম’ হার
তবে আয়ুশ বাদোনিকে নিয়ে সেই চাপ সামলে নেন মার্করাম। গড়েন ৫১ রানের জুটি। ৪টি চারে বোদানি ১৯ বলে করেন ৩০ রান। এরপর স্বদেশী মিলারকে সাথে নিয়ে নিজের সহজাত ব্যাটিং করে যান মার্করাম। এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৫৩ রান করেন। অন্যদিকে কিলার খ্যাত মিলারের অবদান ছিল ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৪ বলে ২৭ রান। বল হাতে মুম্বইয়ের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট নেন কাপ্তান হার্দিক। একটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, অশ্বনী কুমার, ভিগনেশ পুথুর।
ম্যাচ শুরু আগে অনুশীলনে চোট পাওয়ায় এই ম্যাচে ছিলেন না রোহিত শর্মা। তার বদলি হিসেবে ওপেনিংয়ে খেলা উইল জ্যাকস করেন মাত্র ৫ রান। রায়ান রিকেলটনের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। ধীর বেশ দাপুটের সঙ্গেই খেলছিলেন। তবে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায়, ২৪ রানে ৪৬ রানে থামতে হয় তাকে। সূর্যকুমার নিজের চেনা ছন্দে খেলে ৪৩ বলে ৬৭ রান করেন। স্কাই তার ইনিংস সাজান ৯ চার ও ১ ছক্কায়। তিনি ফেরার পরেই রানের গতিটা কমে যায়।
তিলক বর্মা চেষ্টা করলেও রাতটা তাঁর জন্য ছিল না। ২৩ বলে ২৫ রান করার পর মুম্বাই ম্যানেজম্যান্ট তাকে রিটার্য়াড হার্ট করায়। শেষে হার্দিক ১৬ বলে ২৮ রান করলেও পারেননি দলকে জেতাতে। শেষ তিন ওভারে রানের পাহাড় চেপে দিয়ে বাজিমাত করে লক্ষ্ণৌ। আকাশ দীপ, শার্দূল ঠাকুর ও আবেশ খানরা নেন ১টি করে উইকেট।
আসরে এখন পর্যন্ত সমান ৪টি করে ম্যাচ খেলেছে এই দুই দল। যেখানে লক্ষ্ণৌর জয় ২টিতে। অন্যদিকে মাত্র ১টি ম্যাচ জিতে রীতিমত ধুঁকছে মুম্বাই।
ঢাকা/নাভিদ