হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় জলাশয় ইজারার সময়কাল নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। রবিবার (৬ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত উপজেলার স্নানঘাট বাজারে ঘটনাটি ঘটে।

এর আগে, গতকাল শনিবার রাত ৮টায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেসময় জবেদ আলী নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্নানঘাট গ্রামের নায়ের আলীর কাছ থেকে একটি জলাশয় ইজারা নেন একই গ্রামের আইয়ুব আলী। ইজারা গ্রহীতার দাবি, তিনি তিন বছরের জন্য পুকুরটি নিয়েছেন। ইজারা দাতা নায়েব আলী জানান, তিনি এক বছরের জন্য পুকুরটি ইজরা দিয়েছেন। এ ঘটনায় ইজারাদাতা নায়ের আলীর পক্ষ নেন ইজারা গ্রহীতা আইয়ুব আলীর ভাই জাবেদ আলী। এনিয়ে মতবিরোধের জেরে গতকাল শনিবার রাত ৮টায় প্রতিপক্ষের লোকজন জাবেদকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে আহত জাবেদ আলীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

আরো পড়ুন:

রংপুরে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫ 

শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৬

আজ রবিবার ভোর ৬টার দিকে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকাল ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

বাহুবল মডেল থানার ওসি মো.

জাহিদুল ইসলাম বলেন, “পুকুর ইজারার সময়কাল নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

স্বৈরাচারী সরকার দেশের উৎপাদনশীলতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে গেছে

সিলেট থেকে বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর দেশের দ্বিতীয় বিমানবন্দর হিসেবে সিলেট থেকে কার্গো বিমান চলাচল শুরু হয়েছে।

রবিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ৬০ টন গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে কার্গো বিমানের একটি ফ্লাইট সিলেট থেকে স্পেনের উদ্দেশে উড়াল দেয়।

এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এই কার্গো ফ্লাইট উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে নদীতে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৩

বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও বশিরউদ্দীন

উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “সিলেটে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক মাইলফলক।”

সিলেট বিমানবন্দর প্রথম কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ অনুসারে, ভারতে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ হওয়ার পর আমরা সিলেট থেকে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী দিনে আমরা পরিবহন খরচ কমানোর পরিকল্পনা করেছি। পতিত স্বৈরাচারী সরকার দেশের উৎপাদনশীলতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে গেছে। আমরা সেই দায়ভার বহন করছি।” 

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে বিমানভাড়া কমানোর ওপর জোর দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছি।”

সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিলেট থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চালু করতে কার্গো কমপ্লেক্স ও টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষ জনবল ও অত্যাধুনিক নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি সংস্থাপন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের র‌্যাপিড স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে সব যন্ত্রাংশ স্থাপন করা হয়েছে। জনবল নিয়োগের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

কার্গো ফ্লাইট উদ্বোধনের সময় মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম মুশফিকুল ফজল আনসারী এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব নাসরিন জাহান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া।

ঢাকা/নূর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বৈরাচারী সরকার দেশের উৎপাদনশীলতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে গেছে