জলাশয় ইজরার বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত
Published: 6th, April 2025 GMT
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় জলাশয় ইজারার সময়কাল নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। রবিবার (৬ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত উপজেলার স্নানঘাট বাজারে ঘটনাটি ঘটে।
এর আগে, গতকাল শনিবার রাত ৮টায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেসময় জবেদ আলী নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্নানঘাট গ্রামের নায়ের আলীর কাছ থেকে একটি জলাশয় ইজারা নেন একই গ্রামের আইয়ুব আলী। ইজারা গ্রহীতার দাবি, তিনি তিন বছরের জন্য পুকুরটি নিয়েছেন। ইজারা দাতা নায়েব আলী জানান, তিনি এক বছরের জন্য পুকুরটি ইজরা দিয়েছেন। এ ঘটনায় ইজারাদাতা নায়ের আলীর পক্ষ নেন ইজারা গ্রহীতা আইয়ুব আলীর ভাই জাবেদ আলী। এনিয়ে মতবিরোধের জেরে গতকাল শনিবার রাত ৮টায় প্রতিপক্ষের লোকজন জাবেদকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে আহত জাবেদ আলীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
আরো পড়ুন:
রংপুরে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫
শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৬
আজ রবিবার ভোর ৬টার দিকে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকাল ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাহুবল মডেল থানার ওসি মো.
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
শিশুদের ঝগড়ায় জড়ালেন বড়রা, সংঘর্ষে আহত ২০
সুনামগঞ্জের ছাতকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের কামারগাঁওয়ে দুই শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৯ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও অন্য আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার আগে গ্রামের শিশু সাকিব আহমদ (৯) ও সায়মন আহমদের (১১) মধ্যে খেলার সময় ঝগড়া হয়। এরই জেরে গ্রামের ফারুক মিয়া ও সুহেল মিয়া পক্ষের লোকজন কামারগাঁও বাজারে দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। জাউয়াবাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত সাকিব আহমদ, ময়জুল মিয়া, নাসির উদ্দিন, জুনেদ মিয়া, আলা উদ্দিন, জমির উদ্দিন, আশরাফ আহমদ, সুলেমান মিয়া ও জুনাইদ আহমদকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ছাতক থানার ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ছাতক ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দলও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।