গতিবিধি সন্দেহজনক, মাদককাণ্ডে পুলিশ কনস্টেবলকে জনতার ধোলাই
Published: 6th, April 2025 GMT
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ইয়াবা কিনতে গিয়ে দুই পুলিশ কনস্টেবল গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন।
রবিবার (৩০ মার্চ) রাতে দেলদুয়ারের কুপাখী গ্রামে ঘটনাটি ঘটলেও সম্প্রতি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এ ঘটনায় দেলদুয়ার থানার উপপরিদর্শক নন্দন চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্য এবং দুই মাদকসেবীকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত দুই কনস্টেবল ফারহান হোসেন ওরফে সানি এবং নাদের খান কালিহাতী সার্কেলে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার দিন রাতে কুপাখী গ্রামের মাদককারবারি খায়রুলের বাড়ি থেকে ৫০টি ইয়াবা ক্রয় করে চার যুবক। গতিবিধি সন্দেহজনক হলে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাথুলি গ্রামের শচিন্দ্র চন্দ্র মন্ডলের পুত্র শুভ মন্ডল, কালিয়াকৈর থানার বড়ইবাড়ী গ্রামের মৃত শওকত খানের ছেলে মো.
এ প্রসঙ্গে সহকারী পুলিশ সুপার কালিহাতী সার্কেলের আব্দুল্লাহ আল ইমরানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে টাঙ্গাইল সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, মাদক মামলার পর অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কাওছার//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের স্ত্রীর ৫৬ ব্যাংক হিসাবে ৬৮৩ কোটি টাকার লেনদেন
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ ও তাঁর স্ত্রী নূরান ফাতেমার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, ১ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাঁর ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
অন্যদিকে হাছান মাহমুদের স্ত্রী নূরান ফাতেমার বিরুদ্ধে মামলায় ৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর নামে থাকা ৫৬টি ব্যাংক হিসাবে ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন।