ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের প্রায় সবারই শিরোপা নিশ্চিত। চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে কেবল স্প্যানিশ লা লিগায়। প্রথমদিকে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ শিরোপার দৌড়ে  থাকলেও, এখন সেই লড়াই কেবল রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার মাঝে।

এরই মাঝেই ৪ পয়েন্টের ব্যবধান তৈরি হয়েছে বার্সা ও রিয়ালের মাঝে। ব্যবধানটা  ৬ পয়েন্টে উন্নীত করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল রিয়ালই। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বার্সা।

আরো পড়ুন:

দারুণ জয়ে ব্যবধান বাড়ালো বার্সা

উয়েফা, ফিফা ও লা লিগা কর্তৃপক্ষকে ধুয়ে দিলেন কুন্দে

শনিবার (৫ মার্চ) রাতে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শেষ মুহূর্তের গোলে তলানির দল ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে বসেছে রিয়াল। মৌসুমের শেষ মুহূর্তের এই হারে কপালে হাত লস ব্ল্যাঙ্কসদের। আর মাত্র ৮ লেগ বাকি। এর মাঝে এই ব্যবধান ঘোচানো বেশ চ্যালেঞ্জিং।

ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির একাদশ নিয়েই মাঠে নামে রিয়াল। পুরো ম্যাচ শুরু থেকেই প্রভাব বিস্তার করে তারা। কিন্তু গোল পাইনি, উল্টো গোল হজম করে দুবার।

ম্যাচের ১৩তম মিনিটটা অশুভ হয়েই এসেছিল স্বাগতিকদের জন্য। পেনাল্টি মিস করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এর ২ মিনিট পরই পিছিয়ে যায় মাদ্রিদের সাদার। ভ্যালেন্সিয়াকে এগিয়ে দেয়া গোলটি করেন মুকতার দিয়াকাবি। বিরতির পর খেলা শুরু হলে পঞ্চম মিনিটেই ভিনিসিয়ুসের গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে হুগো দুরোর গোলে রিয়ালকে হারিয়ে দেয় ভ্যালেন্সিয়া।

এ জয়ে ৩০ ম্যাচ শেষে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৫তম স্থানে রয়েছে ভ্যালেন্সিয়া। অন্যদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচে রিয়ালের অর্জন ৬৩ পয়েন্ট। ৩০ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট ৬৭।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে ফুলবিঝু উৎসব

ফুল বিজু উৎসবে রমনার লেকে ফুল ভাসিয়ে পার্বত্যবাসীর মঙ্গল কামনা করে পার্বত্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “আমাদের অনাগত দিনগুলো যেন ভালোভাবে আসে। আমাদের সকলের মাঝে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারি, এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ যাতে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, পাহাড়ি-বাঙালি যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাঝে মিলেমিশে থাকে এবং তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারি সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।”

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স থেকে রমনা পার্ক লেকে র‌্যালিসহ ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ফুল বিঝু উৎসব পালন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।

পার্বত্য জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’ বিহু, বিঝু, বিষু, বৈসু, চাংক্রান, সাংক্রান, সাংগ্রাইন, সাংগ্রাইং উৎসব উদযাপন এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন সুপ্রদীপ চাকমা।

তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিকী এবারের বিজু অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা সবাই হাতে হাত ধরে এদেশকে এবং এ জাতিকে উন্নতির শীর্ষে নিযে যেতে চাই- এটাই আমার আজকের দিনের প্রত্যাশা।”

তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা পার্বত্য চট্টগ্রামে আসুন, দেখুন আমরা একত্রে পার্বত্যবাসীর উন্নয়নের জন্য কী করতে চাই। আমাদের এ অনুষ্ঠান একটি ইনক্লুসিভ অনুষ্ঠান। আমরা গর্বিত ও আনন্দিত যে, পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসী আপনারা সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ র‌্যালিতে যোগ দিয়েছেন ও একত্রিত হয়েছেন।”

তিনি এজন্য আগত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উপদেষ্টা বলেন, “পার্বত্যবাসীদের জন্য ভবিষ্যতে আরো কিছু করে যেতে চাই। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নতি করতে চাই।”

অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক বলেন, “আনন্দঘন পরিবেশে উপদেষ্টা মহোদয়ের সহযোগিতায় আমরা এখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা, তঞ্চংগা, খুমি, বোম, খিয়াং ও বাঙালিসহ অন্যান্য সবাই মিলে আজ খুশির এ উৎসব পালন করতে পেরেছি। এ উৎসবে বাঙালি ও পাহাড়িরা একাকার। সবাই আমরা একাত্ম হয়ে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেছি। নেচে গেয়ে আনন্দে শামিল হয়েছি। এ ধরনের সেতু বন্ধন আমাদের মধ্যে অটুট থাকুক।”

র‌্যালি অনুষ্ঠানে ঢাকায় বসবাসকারী তিন জেলার অধিবাসী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ