রশিদা বেগম (৫৫) থানার প্রবেশমুখের সিঁড়িতে বসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ১১টি মৃত মুরগি। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করছিলেন, তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। তখন প্রতিবেশীদের কেউ বিষ খাইয়ে মুরগিগুলোকে মেরে ফেলেছেন।

গতকাল শনিবার বিকেলে লালমনিরহাট সদর থানায় যান রশিদা বেগম। পরে রাতে তিনি ওই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। রশিদা বেগম সদর উপজেলার গোকুন্ডার বেড়পাঙ্গা গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের স্ত্রী।

জিডিতে রশিদা বেগম উল্লেখ করেছেন, তিন–চার আগে তিনি সদর উপজেলার ঢাকনাই কুড়ার পাড়ের এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে মুরগি খোঁয়াড়ে ওঠানোর সময় দেখতে পান, ১টি মুরগি ও ১০টি মুরগির বাচ্চা মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।  

রশিদা বেগম বলেন, ‘আমি চায়াচিন্তে টাকা জমায়ে মুরগিগুলো কিনেছিলাম। অনেক যত্ন করে পুষছিলাম। মুরগিগুলো বেঁচে থাকলে ডিম দিত, ডিম বেচতাম, খাইতাম, ডিম থেকে বাচ্চা হতো। এখন তো আমার সব শেষ হয়ে গেল। কে আমার এমন ক্ষতি করল? আমি তার বিচার আল্লাহর কাছে দিলাম।’

রশিদা বেগম অভিযোগ করেন, প্রতিবেশীদের কেউ খাবারে বিষ দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে মুরগিগুলোকে তিনি যখন বাড়ির বাইরে ছিলেন, তখন হত্যা করে ফেলে রেখে গেছেন। তবে জিডিতে তিনি সুনির্দিষ্ট করে কারও নাম–পরিচয় জানাননি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁদের নাম প্রকাশ করলে তাঁর আরও ক্ষতি হতে পারে।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, রশিদা বেগমের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে সাধারণ ডায়েরি (হিসেবে) হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম রগ গ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের চলাচলে সতর্কতা

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে চলমান বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ঢাকায় অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে মার্কিন দূতাবাস।

সোমবার (৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ সতর্কতা জারি করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা সংঘাতের প্রতিক্রিয়ায় সোমবার ঢাকাসহ সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে এবং কেন্দ্রীয় গণবিক্ষোভে পরিণত হবে। সম্ভাব্য যানজট বৃদ্ধি এবং দূতাবাসে প্রতিবাদের উদ্দেশ্যে আন্দোলনের কারণে মার্কিন দূতাবাস এদিন বিকেলের জনসেবা সীমিত করবে। এ অবস্থায় মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

দূতাবাস আরো বলে, মনে রাখতে হবে, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করা হলেও তা সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে এবং সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। এ অবস্থায় মার্কিন নাগরিকদের বিক্ষোভ এড়ানো উচিত এবং যেকোনো বড় সমাবেশের আশপাশে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা উচিত। এছাড়াও স্থানীয় অনুষ্ঠানসহ নিজের আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকার পাশাপাশি হালনাগাদ তথ্যের জন্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

ঢাকায় অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জনসমাগম ও বিক্ষোভ এড়িয়ে চলার পাশাপাশি জরুরি যোগাযোগের জন্য সব সময় চার্জযুক্ত মোবাইল ফোন বহনের পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ