পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠান ব্যাংক আল ফালাহর বাংলাদেশ শাখা কিনতে চেয়েছিল শ্রীলঙ্কার হাটন ন্যাশনাল ব্যাংক। এ লক্ষ্যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হাটন ন্যাশনাল ব্যাংককে আল ফালাহর বাংলাদেশ শাখা কার্যক্রম খতিয়ে দেখার অনুমোদন দিয়েছিল।

কিন্তু হাটন ন্যাশনাল ব্যাংক শেষমেশ মতি পরিবর্তন করেছে। এখন আর তারা এই ব্যাংক অধিগ্রহণের পথে হাঁটছে না। হাটন ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২ এপ্রিলের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ব্যাংক আল ফালাহর বাংলাদেশ শাখা কেনা হবে না।

সংবাদে বলা হয়েছে, গত বছরের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হাটন ন্যাশনাল ব্যাংকের নিরীক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করতে ব্যাংক আল ফালাহকে নীতিগত অনুমোদন দেয়।

ব্যাংক আল ফালাহ অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, হাটন ন্যাশনাল ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার অনুমোদন দেওয়ার আগে ব্যাংক এশিয়ার সঙ্গেও আলোচনার অনুমিত দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই আলোচনা চলমান থাকতেই হাটন ন্যাশনাল ব্যাংককেও অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। হাটন ন্যাশনাল ব্যাংক এই প্রক্রিয়া থেকে সরে যাওয়ায় এখন ব্যাংক এশিয়ার জন্য দ্বার খোলা আছে।  

জানা যায়, ২০২৩ সাল থেকে ব্যাংক আলফালাহ তাদের বাংলাদেশের কার্যক্রম বিক্রির জন্য উপযুক্ত ক্রেতা খুঁজছিল। এ জন্য তারা অবশ্য টেন্ডার আহ্বান করেনি। ব্যাংক এশিয়ার সঙ্গে এ নিয়ে নানা পর্যায়ে আলোচন হয়েছে। বনিবনা হওয়ায় গত বছরের এপ্রিলে ব্যাংক আল ফালাহ পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকাশিত বার্তায় তাদের বাংলাদেশ কার্যক্রম ব্যাংক এশিয়ার কাছে বিক্রির ঘোষণা দেয়।

এরপর দুই দেশের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এতে সায় দেয়। ব্যাংক এশিয়ার প্রস্তাবের আলোকে পিডব্লিউসি বাংলাদেশকে দিয়ে পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করার অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে আবার যুক্ত হয়ে যায় হাটন ন্যাশনাল ব্যাংক। এবার তারা সেই প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক আল ফ ল হ র অন ম

এছাড়াও পড়ুন:

সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে। 

এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়। 

লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।

২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে। 

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ