মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় যুবদলের দুই নেতা মাতাল অবস্থায় থানায় গিয়ে এক আসামিকে ছাড়াতে যান। এ সময় তারা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ ও গালিগালাজ করেন। পরে পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার রাতে সিংগাইর থানায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন সিংগাইর পৌর যুবদলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম ওরফে জীবন (৪৫) ও পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য শফিকুল ইসলাম (২৬)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আরিফকে শনিবার গ্রেপ্তার করে সিংগাইর থানার পুলিশ। এদিন রাত ৯টার দিকে মদ্যপ অবস্থায় যুবদলের স্থানীয় দুই নেতা থানায় গিয়ে পুলিশ সদস্যদের আসামিকে ছাড়তে বলেন। এ সময় তারা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ ও গালিগালাজ করেন। পরে পুলিশ মদ্যপ অবস্থায় তাদের আটক করে। এরপর তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, মদ্যপ অবস্থায় ওই দুই ব্যক্তি থানায় আসেন। পরে তারা এজাহারভুক্ত এক আসামিকে ছাড়তে বলেন। এ সময় পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ করেন। এ ঘটনায় শনিবার রাতেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। রোববার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে  জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংগঠনবিরোধী এবং দেশের প্রচলিত আইনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে সংগঠনের কেউ জড়িত থাকলে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য বদল ম ন কগঞ জ অবস থ য় য বদল র

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের তীব্র নিন্দা

সুদানে জাতিসংঘের এক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর লজিস্টিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নৃশংস ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’

সুদানের কোরদোফান অঞ্চলের কাদুগলি শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের ভবনটিতে গতকাল শনিবার এ হামলা হয়।

গুতেরেসের বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’

হামলায় নিহত শান্তিরক্ষীদের সবাই বাংলাদেশি। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।

সুদানের সেনাবাহিনী ওই হামলার দায় র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামে দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর ওপর চাপিয়েছে।

সুদানে দুই বছরের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে এ লড়াই চলছে।

আরএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, এ হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া এবং এর পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের ধ্বংসাত্মক কৌশলের স্পষ্ট প্রকাশ।

সুদান সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে একটি স্থান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যাচ্ছে। তারা বলেছে, এটি জাতিসংঘের স্থাপনা।

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহত হওয়ার এ ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।.আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মহাসচিব

যেখানে হামলা হয়েছে, সেই তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেই নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ২০১১ সালে সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে সেখানে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন মোতায়েন রয়েছে।

দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত আবেই বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদার অঞ্চল।

সুদানের আবেই অঞ্চলে একটি সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন জাতিসংঘের একজন শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ