এপ্রিলে অপরিবর্তিত থাকছে এলপি গ্যাসের দাম
Published: 6th, April 2025 GMT
ভোক্তা পর্যায়ে এপ্রিল মাসের জন্য এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫০ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) নতুন মূল্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। যা রবিবার সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
এছাড়া অটোগ্যাসের দাম ৬৬ টাকা ৪৩ পয়সা থেকে ২ পয়সা কমিয়ে ৬৬ টাকা ৪১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
পল্টনে রান্নার সময় চুলার আগুনে দগ্ধ মা ও মেয়ে
রবিবার ৬ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর যেসব এলাকায়
এর আগে গত মার্চ মাসে ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৭৮ টাকা থেকে ২৮ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
ফেব্রুয়ারিতে বাড়তি ছিল এলপি গ্যাসের দাম। মার্চ মাসের কমার পর এই মাসেই অপরিবর্তিত থাকলো। ফেব্রুয়ারিতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর জানুয়ারি মাসের শুরুতে সেই মাসের জন্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল এলপিজির দাম। তবে গত ১৪ জানুয়ারি এই মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়।
২০২৪ সালে ৪ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। এক দফা ছিল অপরিবর্তিত। গত বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর বাড়ানো হয়েছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম কমেছিল এপ্রিল, মে, জুন ও নভেম্বরে। তবে দাম অপরিবর্তিত ছিল ডিসেম্বরে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম স র জন য ছ ল এলপ ১২ ক জ
এছাড়াও পড়ুন:
সাভারে বকেয়া পরিশোধ ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ
সাভারে বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সোমবার (৭ এপ্রিল) সাভার পৌর এলাকার উলাইলে অবস্থিত প্রাইড গ্রুপের এইচ.আর টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড এবং ফ্যাশন নীট গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন।
এর আগে, আজ সকালে শ্রমিকরা ঈদের ছুটি শেষে কাজে যোগ দিতে এসে কারখানার মূল ফটকে লে-অফের নোটিশ দেখতে পেয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা জানান, সকালে কারখানায় কাজে যোগ দিতে এসে নোটিশ দেখতে পান তারা। পরে কারখানা খুলে দেওয়াসহ বকেয়া পাওনা পরিশোদের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তারা শ্রমিকদের বুঝিয়ে ও মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে শ্রমিকদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৪
আলু কিনতে গিয়ে কথা কাটাকাটি, পিটুনিতে নিহত ১
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, “কারখানায় কাজ না থাকাসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই প্রাইড গ্রুপের দুইটি কারখানায় লে-অফের নোটিশ লাগানো কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা বলে মনে করছি। যদি কাজ না থাকে এবং মালিকপক্ষ কারখানা না চালাতে পারেন, তাহলে শ্রম আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণসহ বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।”
প্রাইড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান দুইটির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও কম্পলায়েন্স) মনিরুল ইসলাম বলেন, “মূলত অর্থনৈতিক সংকটের কারণেই কারখানা দুইটিতে লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমে কোভিডের সময় আমরা বড় একটা ধাক্কা খাই। সেটি কাটিয়ে উঠার পরবর্তীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় আমাদের প্রধান বায়ার (পোল্যান্ড, রাশিয়া, ইউক্রেন) হারিয়ে আবারো ধাক্কা খেলে আমাদের ব্যাংক এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা নষ্ট হয়। এরপরও কাজের অর্ডার পেতে কষ্ট হচ্ছিল। এখন আবার জ্বালানি সমস্যা।”
তিনি আরো বলেন, “সব মিলিয়ে তিন মাস আগে থেকেই আমরা সমস্যার কারণে মাসের ৭ তারিখে বেতন দিতে না পেরে ১০ থেকে ১৫ তারিখে বেতন দিচ্ছিলাম। ঈদের আগে যাতে শ্রমিকদের সমস্যা না হয়, সেজন্য আমাদের অন্য ব্যবসা থেকে এনে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করেছি। শ্রমিকরাও জানে আমাদের হাতে ২ মাস ধরে কাজ নেই, তারা কারখানায় এসে বসে থাকতো। ব্যাংক এবং বায়াদের সঙ্গে কথা হচ্ছে, আমরা আশাবাদী এই মাসের ২০-২২ তারিখে একটা সেটেলমেন্ট হয়ে গেলে তখন হয়তো আমরা লে-অফ থেকে বের হয়ে আসতে পারব।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ