গুগলের কুইক শেয়ার অ্যাপে ত্রুটি, ঝুঁকিতে যে সংস্করণের ব্যবহারকারীরা
Published: 6th, April 2025 GMT
গুগলের কুইক শেয়ার অ্যাপ ব্যবহার করে তারের সংযোগ ছাড়াই আশপাশে থাকা নির্দিষ্ট স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে দ্রুত ফাইল আদান-প্রদান করা যায়। তাই অনেকেই নিয়মিত অ্যাপটির মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করেন। ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা পেলেও অ্যাপটির উইন্ডোজ সংস্করণে ভয়ংকর এক নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সেফব্রিচ ল্যাবসের গবেষকেরা।
সেফব্রিচ ল্যাবসের তথ্যমতে, কুইক শেয়ার অ্যাপের উইন্ডোজ সংস্করণে ‘সিভিই-২০২৪-১০৬৬৮’ নামের ত্রুটি শনাক্ত হয়েছে। এই ত্রুটির কারণে ব্যবহারকারীদের সম্মতি ছাড়াই যেকোনো ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ফাইল পাঠানো যায়। এর ফলে ম্যালওয়্যারযুক্ত ফাইল পাঠিয়ে দূর থেকে নির্দিষ্ট ল্যাপটপ বা কম্পিউটার অকার্যকর করার পাশাপাশি সেগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে সাইবার অপরাধীরা।
আরও পড়ুনফোন থেকে কম্পিউটারে ছবি নেবেন যেভাবে০১ জানুয়ারি ২০২৩কুইক শেয়ার অ্যাপে যখন কোনো ফাইলের নাম একটি ইউটিএফ-৮ বাইট দিয়ে শুরু হয়, তখন ডিনায়েল অব সার্ভিস বা ডিওএস ঘরানার ত্রুটিটি সক্রিয় হয়। ত্রুটিটির বিষয়ে সেফব্রিচের গবেষক ওর ইয়ার বলেন, 'এ গবেষণা শুধু কুইক শেয়ার অ্যাপের ওপর করা হলেও এর প্রভাব পুরো সফটওয়্যার খাতের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। সফটওয়্যার যত জটিলই হোক, মূল কারণ চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধান করা জরুরি।’
আরও পড়ুনফোন থেকে ফোনে নম্বর স্থানান্তর করবেন যেভাবে২৫ জুন ২০২৩প্রসঙ্গত, সেফব্রিচ ল্যাবস গত বছরের আগস্টে গুগলকে কুইক শেয়ার অ্যাপে ‘কুইকশেল’ নামের একটি ত্রুটিসহ ১০টি নিরাপত্তা–দুর্বলতা থাকার বিষয়ে সতর্ক করেছিল। এরপর গুগল নিরাপত্তাত্রুটিগুলোর সমাধান করে কুইক শেয়ার ফর উইন্ডোজের হালনাগাদ সংস্করণ উন্মুক্ত করে। তবে সেফব্রিচের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আগে শনাক্ত হওয়া দুটি ত্রুটি পুরোপুরি সমাধান হয়নি।
সূত্র: দ্য হ্যাকার নিউজ
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাইক্রোসফটের তৈরি প্রথম সফটওয়্যারের সোর্স কোড উন্মুক্ত করলেন বিল গেটস
১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বাদ দিয়ে বন্ধু পল অ্যালেনকে সঙ্গে নিয়ে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন বিল গেটস। সে হিসেবে আজ শুক্রবার পাঁচ দশক পূর্তি উদ্যাপন করছে শীর্ষ সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। মাইক্রোসফটের পাঁচ দশক পূর্তি উপলক্ষে গত বুধবার গেটস নোটস ব্লগে নিজের লেখা মাইক্রোসফটের প্রথম সফটওয়্যারের সোর্স কোড উন্মুক্ত করেছেন বিল গেটস। তাঁর ভাষায়, এটিই তাঁর লেখা ‘সবচেয়ে দুর্দান্ত কোড’।
গেটস নোটস ব্লগে বিল গেটস লিখেছেন, ‘একটি প্রতিষ্ঠানের ৫০ বছর পার করা অবশ্যই বিশাল অর্জন। স্টিভ বলমার ও সত্য নাদেলার নেতৃত্বে মাইক্রোসফটের অসংখ্য মেধাবী কর্মীর নিরলস পরিশ্রমের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। এখনো মনে হয়, যেন সেদিনই হার্ভার্ডের কম্পিউটার ল্যাবে পিডিপি-১০ কম্পিউটারের সামনে পল অ্যালেন আর আমি বসে সেই কোড লিখছি, যা একসময় আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রথম পণ্য হয়ে ওঠে। মাইক্রোসফটের প্রথম সফটওয়্যার তৈরির সেই কোড এখন যে কেউ বিনা মূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন।’
আরও পড়ুননিজের যে সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত বিল গেটস২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মাইক্রোসফটের যাত্রা শুরুর গল্পও উঠে এসেছে গেটসের লেখায়। তিনি জানান, ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে পপুলার ইলেকট্রনিকস সাময়িকীর প্রচ্ছদে আলতাইর ৮৮০০ নামে একটি পার্সোনাল কম্পিউটারের ছবি ছাপা হয়। এটি তৈরি করেছিল ‘এমআইটিএস’ নামের একটি ছোট প্রতিষ্ঠান। সে সময় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন বিল গেটস ও তাঁর বন্ধু পল অ্যালেন। তাঁরা আলতাইর ৮৮০০-এর নির্মাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জানান, তাঁরা এই কম্পিউটারের জন্য আলতাইর বেসিক সফটওয়্যার তৈরি করেছেন।
আরও পড়ুনবিল গেটস, স্টিভ জবসদের সন্তানেরা কে কোথায়, কী করেন তাঁরা?১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪এ বিষয়ে বিল গেটস লিখেছেন, ‘আমাদের হাতে কিছুই ছিল না। কিন্তু জানতাম, দ্রুত কিছু করতে হবে। এরপর শুরু হলো দিন–রাত নিরলস পরিশ্রম। টানা দুই মাস কঠোর পরিশ্রম করে আমরা সেই সফটওয়্যার তৈরি করলাম। সেখান থেকেই প্রযুক্তির নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা। আলতাইর বেসিকই ছিল আমাদের নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রথম পণ্য। তখন প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘মাইক্রো-সফট’। পরে নাম থেকে হাইফেন বাদ দিয়ে ‘মাইক্রোসফট’ করা হয়।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও পড়ুনবিল গেটসের যেসব ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয়নি০৫ মার্চ ২০২৫