ভারতে ওয়াকফ বিল পাস নিয়ে ফেসবুকে যা বললেন আসিফ নজরুল
Published: 6th, April 2025 GMT
ভারতের লোকসভায় বুধবার রাতে পাস হয়েছে বহু বিতর্কিত ওয়াকফ বিল। বুধবার লোকসভায় বিলটি ২৮৮-২৩২ ভোটে পাস হয়। নিম্নকক্ষে পাস হওয়ায় বিলটি এখন রাজ্যসভায় যাবে। সেখানে পাস হলে যাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। তিনি স্বাক্ষর করলে সেটি আইনে পরিণত হবে।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, বিলটি আইনে পরিণত হলে তা ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনবে। কিন্তু বিরোধী দল এবং প্রায় সব মুসলিম সংগঠনই বলছে, এই বিলটি আনাই হয়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করতে।
আজ রোববার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড.
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি আরও লিখেন, উল্লেখ্য, ভারতে হিন্দু মন্দির পরিচালনা কমিটিতে অন্য ধর্মাবলম্বীরা স্থান পান না। এই প্রশ্ন সেখানে উঠেছে যে, ওয়াক্ফ বোর্ডে তাহলে অমুসলিমদের রাখা হবে কেন?’
তিনি আরও বলেন, এই আইন ভারতে মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মের মানুষের বিরুদ্ধে ভারতের হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর ক্রমাগত বৈষম্য ও নিপীড়নের আরেকটি অধ্যায় রচনা করবে।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এরাই আবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের ভূয়া অভিযোগ তুলে যাচ্ছে অব্যাহতভাবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাজার জন্য ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির ডাক এলো কোথা থেকে?
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে চলছে বিক্ষোভ। 'নো ওয়ার্ক, নো স্কুল' কর্মসূচির সাথে সংহতি জানিয়ে পালন করা হচ্ছে সাধারণ ধর্মঘট। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই কর্মসূচি কোথা থেকে শুরু হলো, তা জানেন না অনেকেই।
শনিবার (৫ এপ্রিল) প্রথম এই কর্মসূচির আহ্বান করা হয় 'ট্রান্সলেটিং ফালাস্তিন' নামের একটি ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে। একাউন্টটি সাধারণত গাজায় চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কনটেন্ট পোস্ট করে থাকে। শনিবার তারা একটি ছবি পোস্ট করে যাতে ফিলিস্তিনের পতাকাসহ লেখা থাকে "দ্য ওয়ার্লড স্টপস ফর গাজা। নো ওয়ার্ক। নো স্কুল। আনটিল দ্য জেনোসাইড স্টপস।'
৭ এপ্রিল সাধারণ ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট করা হয় ইংরেজি এবং আরবি দুই ভাষাতেই। পৌনে চার লাখ ফলোয়ারের এই ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে দ্রুতই ছড়িয়ে যায় এই ধর্মঘটের আহ্বান। সংহতি জানিয়ে সেই পোস্টের কমেন্টে অনেকেই জানান, তারা নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখবেন এবং কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশেও 'দ্য ওয়ার্লড স্টপস ফর গাজা' কর্মসূচির সাথে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে সোমবার তাদের কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ এবং মিছিল করছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
গাজার জন্য 'নো ওয়ার্ক, নো স্কুল' কর্মসূচিটি অবশ্য একেবারেই নতুন নয়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর ওই বছরই ১১ ডিসেম্বর এমন একটি ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাপী এই ধর্মঘটের মূলমন্ত্র ছিল 'নো ওয়ার্ক, নো স্কুল, নো শপিং।' শুধু ক্লাস বা অফিস বর্জন নয়, সেদিন কোনোরকম কেনাকাটাও করতে নিরুৎসাহিত করা হয়। কর্মসূচিতে অংশ নিতে হলে সেদিন অফলাইন বা অনলাইনে কোনো কেনাকাটা করা যাবে না, নিজের ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করা যাবে না, ফেইসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট ডিএক্টিভেট করতে হবে, এবং 'স্ট্রাইকফরগাজা' হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে টুইটারে।