বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের মা কিম ফার্নান্দেজ মারা গেছেন। রোববার (৬ এপ্রিল) মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অভিনেত্রীর টিম সূত্রে এই খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

গত ২৪ মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে মুম্বাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় জ্যাকলিনের মাকে।

খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে ফেরেন অভিনেত্রী। এরপর থেকে মায়ের পাশেই ছিলেন। অসুস্থ মাকে সময় দিতে গিয়ে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। আইপিএল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার পরিকল্পনাও বাতিল করেন।

মুমূর্ষু মাকে আইসিইউতে রেখে কোথাও যেতে চাননি তিনি। তবে মাকে সুস্থ করে ফেরাতে পারলেন না অভিনেত্রী।

তার মা কিম ছিলেন মালয়েশিয়ান এবং কানাডিয়ান বংশোদ্ভূত। অন্যদিকে, তার বাবা এলরয় ফার্নান্দেজ শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা। এই দম্পতির দেখা হয় ১৯৮০ সালে। তখন কিম একজন বিমানসেবিকা হিসেবে কাজ করতেন। বাহরাইনেই বাস করতেন জ্যাকলিনের মা।

২০২২ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এবার ভারতে অসুস্থ হয়ে পড়লে দেশটির একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাকে দেখতে এসেছিলেন সালমান খানও।

জ্যাকলিনের জীবনের একমাত্র ছায়াসঙ্গী তার মা কিম। তাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ অভিনেত্রী। এ তারকার অনুরাগীরাও শোকাহত। তবে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি জ্যাকুলিন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ য কল ন

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের তীব্র নিন্দা

সুদানে জাতিসংঘের এক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর লজিস্টিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নৃশংস ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’

সুদানের কোরদোফান অঞ্চলের কাদুগলি শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের ভবনটিতে গতকাল শনিবার এ হামলা হয়।

গুতেরেসের বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’

হামলায় নিহত শান্তিরক্ষীদের সবাই বাংলাদেশি। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।

সুদানের সেনাবাহিনী ওই হামলার দায় র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামে দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর ওপর চাপিয়েছে।

সুদানে দুই বছরের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে এ লড়াই চলছে।

আরএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, এ হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া এবং এর পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের ধ্বংসাত্মক কৌশলের স্পষ্ট প্রকাশ।

সুদান সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে একটি স্থান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যাচ্ছে। তারা বলেছে, এটি জাতিসংঘের স্থাপনা।

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহত হওয়ার এ ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।.আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মহাসচিব

যেখানে হামলা হয়েছে, সেই তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেই নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ২০১১ সালে সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে সেখানে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন মোতায়েন রয়েছে।

দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত আবেই বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদার অঞ্চল।

সুদানের আবেই অঞ্চলে একটি সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন জাতিসংঘের একজন শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ