ক্রিকেট-পাগল এক দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি। নিজেও যে ক্রিকেটের খোঁজখবর ভালোই রাখেন, সেটা তাঁর এক্স হ্যান্ডলে চোখ রাখলেই বোঝা যাবে। বলা হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা।

ক্রিকেটপ্রেমী বলেই হয়তো শ্রীলঙ্কা সফরে থাকা মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হলো দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম বিশ্বজয়ের আনন্দে ভাসিয়েছিলেন যাঁরা, সেই দলটার বেশ কজন ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাতের পর মোদি যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রীলঙ্কান এই ক্রিকেটারদের নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, তেমনি কিংবদন্তি লঙ্কান ক্রিকেটাররাও বলেছেন মোদিকে নিয়ে তাঁদের মুগ্ধতার কথা।

আরও পড়ুনশ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে জয় শাহ ধ্বংস করে দিচ্ছে, দাবি রানাতুঙ্গার১২ নভেম্বর ২০২৩

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট আনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকের আমন্ত্রণে মোদি ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত দ্বীপ দেশটিতে সফরে আছেন। এই সফরেই অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার ফাঁকে মোদি সাক্ষাৎ করেছেন অরবিন্দ ডি সিলভা-সনৎ জয়াসুরিয়া-চামিন্দা ভাস-মারভান আতাপাত্তু-রমেশ কালুভিথরানাসহ ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কা দলের কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে।

নরেন্দ্র মোদিকে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জয়ের গল্প শুনিয়েছেন জয়াসুরিয়া–ভাসরা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি বাতিলের দাবি বিজেপি নেতার

বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি বাতিল করার দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সংসদ সদস্য নিশিকান্ত দুবে। সম্প্রতি পাহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় নরেন্দ্র মোদি সরকার। এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গেও পানি বন্টন চুক্তি বাতিলের দাবি করেন তিনি। এমনকি ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তিতে ত্রুটি রয়েছে বলেও তার অভিমত।

বার্তা সংস্থা এএনআইকে বিজেপির সংসদ সদস্য বলেন, ‘গঙ্গার পানি চুক্তির সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার ভুল করেছিল। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (নীতীশ কুমার) বারবার এই কথা বলে আসছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (মমতা ব্যানার্জি) তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তির বিরোধিতা করেছেন। এমনকি আসামের মুখ্যমন্ত্রী (হিমন্ত বিশ্ব শর্মা) ব্রহ্মপুত্রের পানি বাংলাদেশে যাওয়ার বিরোধিতা করেছেন।’

দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিশিকান্ত। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের যোগ রয়েছে দাবি করে নিশিকান্ত বলেন, ‘লস্কর-ই-তৈয়বা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তাই জঙ্গি অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্ত সুরক্ষিত করা প্রয়োজন।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি বাতিলের দাবি বিজেপি নেতার
  • বাংলাদেশকেও পানি দেওয়া বন্ধের দাবি বিজেপির