পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে নারী বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। ২০২৫ বিশ্বকাপ নিশ্চিতের লক্ষ্যে সেখানে অংশগ্রহণ করতে বর্তমানে পাকিস্তানে আছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এরই মধ্যে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে স্বাগতিক ভারতসহ ২০২২-২৫ আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের শীর্ষ ছয় দল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ড। বাকি দুই দল আসবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে।

৯ থেকে ১৯ এপ্রিল ছয় দল নিয়ে পাকিস্তানে হবে বাছাইয়ের লড়াই। লাহোরের দুই ভেন্যু গাদ্দাফি স্টেডিয়াম ও লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এলসিসিএ) গ্রাউন্ডে হবে মোট ১৫টি ম্যাচ। খেলবে স্বাগতিক পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ড। এখান থেকে শীর্ষ দুই দল পেয়ে যাবে ভারতের টিকিট, খেলবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে।

বাংলাদেশের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্বাগতিক পাকিস্তান। গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেই সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার আশা শেষ হয়ে গেছে নিগারদের। বাছাইয়ের ফেভারিট ক্যারিবীয়ানরাই। পাকিস্তানের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশে জয়-হার সমান সাতটি করে (একটি টাই)। এছাড়া আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। এমনকি বাছাইয়ের অন্য দল থাইল্যান্ডও অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে।

শ্রীলঙ্কান কোচ হাশান তিলাকারাতে্নর বিদায়ের পর দেশের অভিজ্ঞ কোচ সরওয়ার ইমরানের কোচিংয়ে এই আসরে খেলবেন নিগাররা। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১০ এপ্রিল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে লাহোরে। বাংলাদেশের মেয়েদের দ্বিতীয় ম্যাচ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। দিবারাত্রির ম্যাচটি হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে, ১৩ এপ্রিল। একই মাঠে ১৫ এপ্রিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ দল। ১৭ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ১৯ এপ্রিল পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ নিজেদের সর্বশেষ দুটি ম্যাচ খেলবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি কঠিন দলের বিপক্ষে লড়তে হবে বাংলাদেশের মেয়েদের।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ বক প ব ছ ই ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান বর্বরতার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সোমবার রাজধানীসহ সারা দেশে সাধারণ ধর্মঘট কর্মসূচি চলছে।

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিশ্বব্যাপী গড়ে ওঠা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে সোমবার তাদের কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না।

সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। তারা ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’, ‘ট্রাম্পের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’ স্লোগান দিচ্ছেন। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে তারা নিজ ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নেন। বিক্ষোভে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। 

সায়েন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোডেও বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

শাহবাগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মিছিল নিয়ে আসে। কয়েকটি মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে দেখা যায়।

বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে, রাজু ভাস্কর্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন।

এদিকে এই পরিস্থিতিতে জাতীয় জাদুঘর ও শাহবাগ এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের জলকামানের গাড়ি ও প্রিজন ভ্যানও দেখা গেছে।

বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে গুলশানে মার্কিন দূতাবাস এলাকায় মিছিল বের করে একদল তরুণ। মার্কিন দূতাবাসের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নেন তারা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বৈশ্বিক সংহতি জানিয়ে কালীগঞ্জে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। 

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ও গণহত্যার প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। উপাচার্য দীলিপ কুমার বড়ুয়ার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীগণ ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে মিছিলে অংশ নেন। সোমবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মিছিলটি বের হয়। এতে ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, ফ্রি ফ্রি গাজা, নো মোর ইসরায়েল’ ইত্যাদি শ্লোগান দেওয়া হয়।

এদিকে কাঁঠালিয়ায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি) 

সম্পর্কিত নিবন্ধ