থাইল্যান্ডে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত থাই ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপের ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন বাংলাদেশের সাঁতারু সামিউল ইসলাম। তাঁর সময় লেগেছে ৫৮.৯০ সেকেন্ড, যেটা এই ইভেন্টে সামিউলের ক্যারিয়ার–সেরা টাইমিংও। এত দিন তাঁর সেরা টাইমিং ছিল ৫৮.৯৫ সেকেন্ড।

১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে সোনা জেতা থাই সাঁতারুর টাইমিং ৫৬.

৯৩ আর রুপা জেতা হংকংয়ের সাঁতারুর টাইমিং ৫৭.৮৪। আজ থাই ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপের ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক ইভেন্টেও অংশ নেবেন সামিউল।

বিশ্ব সাঁতার ফেডারেশনের বৃত্তি নিয়ে থাইল্যান্ডে আছেন সামিউল। সেখানে মূলত উন্নত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। থাইল্যান্ডে হওয়া থাই ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপের পর এ মাসেই মালয়েশিয়ার ওপেন সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবেন।

২৪-২৭ এপ্রিল কুয়ালালামপুরে হবে ৬৭তম মিলো মালয়েশিয়া ওপেন সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপ, যেখানে স্বাগতিক মালয়েশিয়া ছাড়াও বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ডেনমার্ক, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, তাজিকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ঘানাসহ বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশ থেকে সাঁতারুরা অংশ নেবেন।

গত বছর মালয়েশিয়ায় হওয়া এই প্রতিযোগিতায় রুপা জিতেছিলেন সামিউল। এবার তাঁর লক্ষ্য সোনা। আজ থাইল্যান্ড থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে এমনটাই বলেছেন সামিউল, ‘টাইমিংয়ে কিছুটা উন্নতি করতে পেরে ভালো লাগছে। আসলে থাই চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য আমি আলাদাভাবে কোনো প্রস্তুতি নিইনি। আমার লক্ষ্য মালয়েশিয়ায় সোনা জেতা। বলতে পারেন সেই টুর্নামেন্টের আগে এটা একটা প্রস্তুতি। তবে নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে পেরেই ভালো লাগছে।’

১১ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে বসবে এবারের বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশ থেকে অংশ নেবেন সামিউল ও মোসাম্মাৎ অ্যানি আক্তার। তাঁদের ইভেন্টগুলো হবে ২৫ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত। সামিউল ৫০ ও ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক এবং অ্যানি ৫০ ও ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

বিশ্ব সাঁতারে অংশ নেওয়ার আগে মালয়েশিয়ায় নিজেকে আরেকবার পরখ করে দেখতে চান সামিউল, ‘জুলাইয়ে সিঙ্গাপুরে বিশ্ব সাঁতার। সেখানে ভালো কিছু করার চেষ্টা থাকবে। তার আগে মালয়েশিয়ায় সোনা জিততে পারলে প্রস্তুতিটা পরিপূর্ণ হবে বলে মনে করছি।’

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিভাবান সাঁতারুদের একজন সামিউল। ২০২৩ সালে হওয়া জাতীয় সাঁতারে রেকর্ড গড়ে তিন সোনা জেতেন ২১ বছর বয়সী এই সাঁতারু। আর গত বছর ৩৩তম জাতীয় সাঁতারে পুরুষ বিভাগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হয়ে জেতেন পাঁচটি সোনা ও একটি ব্রোঞ্জ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নশ প র ১০০ ম ট র ন স ম উল

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন আসমানি, ক্ষতিকর রাসায়নিক পান করিয়ে পালিয়েছেন স্বামী

রাজশাহীর বাগমারায় পারিবারিক কলহের জেরে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী মুখের ভেতর ক্ষতিকর রাসায়নিক ঢেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার নরদাশ ইউনিয়নের চণ্ডীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম আসমানি খাতুন (২৮)। আর তাঁর স্বামীর নাম রশিদুল ইসলাম (৩৫)। তাঁদের বাড়ি চণ্ডীপুর গ্রামে। ঘটনার পর থেকে রশিদুল পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে আসমানির সঙ্গে প্রতিবেশী রশিদুলের বিয়ে হয়। এটি তাঁদের দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম স্বামীর সঙ্গে আসমানির বিচ্ছেদ হলেও রশিদুলের সঙ্গে প্রথম স্ত্রী আছেন। তাঁকে নিয়ে চণ্ডীপুর গ্রামে থাকেন। অন্যদিকে বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে কাজের সুবাদে রাজশাহী শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন আসমানি। ওই বাসাভাড়ার জন্য টাকা চাওয়ায় আসমানির ওপর ক্ষিপ্ত হন রশিদুল। গতকাল দুপুরে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আসমানির কাছে এ বিষয়ে কৈফিয়ত চান। একপর্যায়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ‘ড্যামফিক্স’ নামের তরল রাসায়নিক স্ত্রীর মুখে ঢেলে দেন রশিদুল। তিনি আগেই একটি বোতলে ওই রাসায়নিক নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন। এরপর দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান রশিদুল। পরে অসুস্থ আসমানিকে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যেরা।

গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে আসমানিকে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায়। পাশে বসে মা মালেকা বিবি মেয়েকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় আসমানির গালের ডান পাশ ও জিহ্বা কালো দেখা যায়। চিকিৎসক এই প্রতিবেদককে জানান, ‘রাসায়নিকের প্রভাবে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ওয়াশ করার তো উপায় নাই। নাড়ি পুড়ে গেছে, স্যালাইন চলছে। তার (আসমানি) শারীরিক অবস্থা ততটা ভালো নয়।’

এ ঘটনায় আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে তিনি বিষয়টি জেনেছেন। ঘটনার পর থেকে রশিদুল পলাতক। তাঁকে ধরার জন্য পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ