শরীয়তপুরে সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণ: প্রধান অভিযুক্ত কুদ্দুস ব্যাপারী গ্রেপ্তার
Published: 6th, April 2025 GMT
শরীয়তপুরের জাজিরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত কুদ্দুস ব্যাপারীকে (৫৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে বরিশাল র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল নিস্তার আহমেদ আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফ করবেন। বরিশালের রুপাতলিতে র্যাব-৮ ব্যাটালিয়ান সদরে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার সকালে জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের কাজিয়ারচর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। শনিবার সকালে কাজিয়ারচর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় শতাধিক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে দু’পক্ষের সংঘর্ষ এবং হাতবোমা বিস্ফোরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায় একটি খোলা মাঠে উভয় পক্ষের লোক মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে অনেকের হাতে বালতি ও হেলমেট পরিহিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। বালতি থেকে হাতবোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। পরে সেগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করছে।
বিষয়টি নিয়ে জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ স ঘর ষ র র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মৌলভীবাজারে আইনজীবীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
মৌলভীবাজারে সুজন মিয়া (৩২) নামের এক আইনজীবীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের পৌরসভা কার্যালয়ের পাশের চটপটির দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত অ্যাডভোকেট সুজন মিয়া মৌলভীবাজার পৌর শহরের পূর্ব হিলালপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার মো. জহিরুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, আইনজীবী সুজন মিয়া রোববার রাতে বাণিজ্যমেলায় যান। বাণিজ্যমেলা থেকে এসে সুজন পৌরসভা প্রাঙ্গণে ফুচকার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ান। সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৪ থেকে ৫ জনের দুর্বৃত্তদল তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটি জানা যায়নি।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মাহবুবুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।