প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদল নেতার মৃত্যু, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন
Published: 6th, April 2025 GMT
মাগুরার শ্রীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবদল নেতা মিরান হোসেন (৪৩) মারা গেছেন। শনিবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মিরানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ লোকজন অভিযুক্ত জামিরুল ইসলামের নাকোলের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার উপজেলার নাকোল মল্লিকপাড়া জামে মসজিদে মুসল্লিদের কাছ থেকে আদায়কৃত টাকার হিসাব নিয়ে মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি জামিরুল ইসলামের সঙ্গে যুবদল নেতা মিরান হোসেনের বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় জামিরুলের সমর্থিতরা মিরান হোসেনের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মাথায় লাঠির আঘাতে মিরান গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও পরে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন:
খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, সেনা সদস্যের মৃত্যু
ছুটিতে নানাবাড়ি বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
স্থানীয় যুবদলের নেতা-কর্মীদের ভাষ্যমতে, ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে জেলা যুবদলের কমিটি না হওয়ায় মিরান হোসেনের কোনো পদ নেই। তবে, তিনি যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
ঢাকা/শাহীন/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত য বদল ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত, নিহত আরো অর্ধশতাধিক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতা থামছেই না। গতকাল রবিবার (৬ এপ্রিল) গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ৭০০ জনে পৌঁছে গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেইর আল-বালাহের পাঁচটি এলাকার বাসিন্দাদের তাদের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর ইসরায়েল গাজার মধ্যাঞ্চলে গতকাল রবিবার নতুন করে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে।
আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, গাজা শহরের পূর্বে আল-নাখিল স্ট্রিটে ইসরায়েলি কামানের গোলাবর্ষণে আট শিশুসহ দশজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে একটি চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে।
আরো পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ
গাজায় স্বাস্থ্যকর্মী হত্যার ঘটনায় ভুল স্বীকার করল ইসরায়েল
ওই সূত্র আরো জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় শহর দেইর আল-বালাহেও ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আরেকটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, গাজা শহরের পূর্বে শুজাইয়া পাড়া লক্ষ্য করে বিমান হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
একই শহরের জেইতুন পাড়ায় আইন জালুত স্কুলের কাছে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলায় আরো দুইজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সূত্র জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকার জাবালিয়ার সালাম পাড়ায়ও কামানের গোলাবর্ষণে আরো চারজন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় গাজার জাওয়াইদা এলাকায় একটি বাস্তুচ্যুত শিবিরে ড্রোন হামলায় আরো একজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। আরেকটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে চালানো হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসের কিজান রাসওয়ান এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের একটি দলকে লক্ষ্য করে আরেকটি হামলায় আরো একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসিতে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি গুলিবর্ষণে এক ফিলিস্তিনি শিশু নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খান ইউনিসের পূর্বে আবাসন আল-কাবিরায় কামানের গোলাবর্ষণে আরো একজন নিহত এবং আরো চারজন আহত হয়েছেন।
এদিকে আল জাজিরার লাইভ খবরে বলা হয়েছে, আজ সোমবার সকালেও গাজার আল-আকসা হাসপাতালের কাছে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
কুদস নিউজ নেটওয়ার্কের বরাত দিয়ে আল জাজিরা বলেছে, গাজার বাস্তুচ্যুত নিরুপায় মানুষেরা আল–আকসা হাসপাতালের কাছে তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় প্রচুর হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা জানা যায়নি। তবে আহত বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ