ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা সুদীপ মুখার্জি। ৫৬ বছর বয়সি এই অভিনেতা হাঁটুর বয়সে নায়িকা পৃথা চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘর বাঁধেন। এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে এই দম্পতি খুব ভালো সময় পার করছিলেন। হঠাৎ দাম্পত্য জীবনে ছন্দপতন ঘটেছে, ভেঙে গেছে তাদের সংসার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন পৃথা। এ অভিনেত্রী লেখেন, “আমি আর সুদীপ আর দম্পতি নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। আমরা আজীবন বন্ধু হয়ে থাকব।”
এ বিষয়ে কথা বলতে সুদীপ মুখার্জির সঙ্গে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম যোগাযোগ করে। শুটিং সেট থেকে এ অভিনেতা বলেন, “আমি শুটিংয়ে ব্যস্ত। বিন্দুবিসর্গ বুঝতে পারছি না। পৃথা এটা কী করেছে, তা আমি নিজেই জানি না!”
আরো পড়ুন:
বাড়ি ফিরে এখনো কেঁদে ফেলি: ঋতুপর্ণা
নায়িকা হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখছে মহেশ বাবুর কন্যা?
সুদীপ মুখার্জিও তার সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ডিটাচমেন্ট’ বা ‘হতে দাও’ এমন বাক্য লিখেছেন। এসবের অর্থ কী জানতে চাইলে সুদীপ বলেন, “সমস্যা সকলের জীবনেই কমবেশি থাকে। আমারও আছে। এই নিয়ে বেশি কিছু বলা মানায় না।” পাশাপাশি এও জানান, দুই সন্তানকে নিয়ে তারা এখনো এক ছাদের নিচে আছেন!
সুদীপ মুখার্জি প্রথম সংসার বাঁধেন অভিনেত্রী দামিনি বেণী বসুর সঙ্গে। এ সংসার ভাঙার পর পৃথার সঙ্গে ঘর বাঁধেন। কিন্তু এই জার্নি সহজ ছিল না। আপত্তি জানিয়েছিলেন পৃথার বাবা-মা। কারণ পৃথার এটি প্রথম বিয়ে।
তা ছাড়া সুদীপ মুখার্জি ও পৃথার বয়সের পার্থক্য ২৪ বছরের। তাই অসম এই বিয়ে নিয়ে নানাজন নানা মন্তব্যও করেছিলেন। অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন—সুদীপের টাকা দেখে বিয়ে করেছেন পৃথা। এ বিষয়ে পৃথা বলেছিলেন— “কোনো অল্প বয়সি পুরুষের মধ্যে মনের মানুষকে খুঁজে পাইনি। আর সুদীপের টাকা থাকলেও, আমি টাকার জন্য ওকে বিয়ে করিনি।”
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
রোহিঙ্গাদের জন্য আরাকানে স্বাধীন রাজ্য চায় জামায়াত
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যকেন্দ্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গাদের এলাকায় স্বাধীন মুসলিম রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ঢাকা সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা এ প্রস্তাব দেন। রোববার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জামায়াতে ইসলামীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের পেং জিউ বিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন।
বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘বাংলাদেশে ১১ বা ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে; তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের খাদ্য, কাপড় ইত্যাদি দেওয়া কোনো সমাধান নয়। স্থায়ী সমাধানের জন্য রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ও পুনর্বাসন করতে হবে। সে জন্য আমরা আরাকানকেন্দ্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গাদের এলাকায় “ইন্ডিপেনডেন্ট আরাকান স্টেট” করার প্রস্তাব দিয়েছি।’
চীনকে কেন এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর এই নেতা। তিনি বলেন, চীন এখানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ, মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের বড় ধরনের সম্পর্ক আছে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদল এই প্রস্তাব তাদের দেশের সরকারকে জানাবে বলে জানিয়েছে।
বৈঠকে চীনা প্রতিনিধিদলকে তিস্তা ব্যারাজ, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু এবং গভীর সমুদ্রবন্দরে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান আবদুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
চীনের এই প্রতিনিধিদল তাদের দেশের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জামায়াতকে দাওয়াত দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানান জামায়াতের নায়েবে আমির। জামায়াতের পক্ষ থেকেও শিগগিরই চীনা কমিউনিস্ট পার্টির একটি প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘তারা আমাদের দেশের জাতীয় নির্বাচন কখন, কীভাবে হতে পারে, তা জানতে চেয়েছে। আমরা জানিয়েছি, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জুনে নির্বাচনের কথা বলেছেন, আমরাও এ বিষয়ে একমত। তারা এই নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপে বিশ্বাস করে না বলে আমাদের জানিয়েছে।’