বুকারের দীর্ঘ তালিকায় দক্ষিণ ভারতীয় বানু মুশতাক
Published: 6th, April 2025 GMT
দীপা ভাস্তির ইংরেজিতে অনুবাদ করা কন্নড় ভাষার লেখক বানু মুশতাকের ছোটগল্পের সংকলন হার্ট ল্যাম্প ২০২৫ সালের মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারের দীর্ঘ তালিকাভুক্ত হয়েছে। দক্ষিণ ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের নারীদের জীবনের গল্প ফুটিয়ে তোলায় সংকলনটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটিকে কন্নড় সাহিত্যের জন্য একটি মাইলফলক বলে মনে করছেন অনেকে।
দীর্ঘ তালিকা থেকে বুকারের সংক্ষিপ্ত তালিকা ঘোষণা হবে আগামী ৮ এপ্রিল। এরপর আগামী ২০ মে চূড়ান্ত বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
৭৭ বছর বয়সী বানু মুশতাক দীর্ঘদিন ধরে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত। ১৯৭০ দশকে বন্দয়া সাহিত্য আন্দোলন থেকে উদ্বুব্ধ হয়ে সাহিত্যজীবন শুরু করেন তিনি। তাঁর লেখায় বর্ণ ও শ্রেণি নিপীড়নের কথা উঠে এসেছে বেশি। বুকারে মনোনয়ন পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি খুব খুশি। তবে সমাজের বৈষম্য নিয়ে আমার আরও লেখা দরকার।’ আর বিচারকদের মতে, হার্ট ল্যাম্প হলো দক্ষিণ ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের নারী ও মেয়েদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিচ্ছবি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
গ্রন্থনা: রবিউল কমল
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিনোদনের ভরপুর এক উপভোগ্য সিনেমা
আদনান ফটোগ্রাফার। বন্ধুকে নিয়ে সদরঘাটে এসেছে ছবি তুলতে। এদিকে বিয়ের আসর থেকে পালিয়েছে সুইটি। মা–বাবার পছন্দের ছেলেকে সে কিছুতেই বিয়ে করবে না। সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে যাবে বরিশাল। বান্ধবীর বাড়িতে কিছুদিনের জন্য আস্তানা গাড়বে। সদরঘাটে সে যখন দিগ্বিদিক ছুটছে, আদনান তখন ছবি তোলায় মগ্ন। এরপর যা হওয়ার তাই হয়। নায়ক–নায়িকার অবধারিত ধাক্কা, বুড়িগঙ্গার বিশ বাও জলের নিচে ক্যামেরা! ক্ষতিপূরণ আদায়ে নাছোড় আদনানের বন্ধু।
একনজরেসিনেমা: ‘হাউ সুইট’
ধরন: কমেডি ড্রামা
পরিচালনা: কাজল আরেফিন
অভিনয়: অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ, এরফান মৃধা, পাভেল
স্ট্রিমিং: বঙ্গ
আদনানের মন একটু নরম। সুইটির মতো সুন্দর মেয়ের কাছে খড়্গহস্ত হতে নারাজ। অবশ্য ক্ষতিপূরণ দিতে চায় সুইটি। কিন্তু তার কাছে তো টাকাপয়সা নেই। আদনানরা যদি তাকে বরিশালে বন্ধুর বাসায় পৌঁছে দেয়, তবে তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেবে। অগত্যা রাজি হয় আদনান, লঞ্চ ছোটে বরিশাল। তখন অবশ্য কেউই জানত না সুইটির বান্ধবীর পরিবার একটা ‘মিনি চিড়িয়াখানা’।
সুইটির বান্ধবীর ভাই নয়ন এলাকায় দাপট দেখানোর চেষ্টা করে, চোখ ট্যারা, তাই সবাই তাকে ডাকে ‘ট্যারা নয়ন’। নয়ন নিজেকে গডফাদার ভাবে, তবে আদতে সে ভিতুর ডিম। তার কর্মকাণ্ড ভয়ের চেয়ে হাসায় বেশি।
তো বাসায় আসামাত্রই ছোট বোনের বান্ধবী সুইটিকে পছন্দ করে ফেলে নয়ন। বিয়ে করতে চায়, পরিবারের সবাই রাজি। সুইটি তো হতভম্ব। এক বিয়ে থেকে পালিয়ে আবার বিয়ে! রাজি না হওয়ায় তাকে বেঁধে এক ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়। এদিকে লঞ্চ থামার পরেই আদনানদের না বলে পালিয়ে ছিল সুইটি। তারাও হন্যে হয়ে খুঁজছে মেয়েটিকে। ফারহানা সুইটিকে খুঁজে পাবে কি না, তার সঙ্গে সুইটির বিয়ে আদৌ কি হবে? এসব নিয়েই বঙ্গ প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে কাজল আরেফিনের ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’।
কয়েক বছর ধরেই ছোট পর্দা আর ওটিটিতে একের পর এক হিট কাজ উপহার দিচ্ছেন কাজল আরেফিন। লার্জার দ্যান লাইফ সব চরিত্র, হাস্যরসের মিশেলে ভিন্নমাত্রা পায় তার কাজ। থাকে ভরপুর বিনোদন। হাউ সুইটও তেমনি একটি কাজ। ওটিটিতে থ্রিলারধর্মী কাজের বাইরে বিনোদনের মোড়কে নির্মিত সিনেমাটি যেন দর্শকের চোখের আরাম।
‘হাউ সুইট’–এর দৃশ্য। ভিডিও থেকে