সরকারি সফরে আজ রোববার রাশিয়া গেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। রাশিয়া সফর শেষে তিনি ১০ এপ্রিল ক্রোয়েশিয়া যাবেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সফরকালে সেনাপ্রধান রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার সামরিক–বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি সামরিক বাহিনীর সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় করবেন। এ ছাড়া সেনাপ্রধান কয়েকটি সামরিক স্থাপনা ও সমরাস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করবেন।

সফর শেষে সেনাপ্রধান ১২ এপ্রিল  বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে সেনা পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া। মূলত এতদিন কোরিয়া এ বিষয় মুখ না খুললেও সোমবার প্রথমবারের মতো সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি। 

১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৩ সালের কোরিয়া যুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়া এই প্রথম কোনো সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিলো।

সোমবার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে গতবছর সেনা পাঠায় তারা। 

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউক্রেনের গোয়েন্দা দপ্তর জানিয়েছিল, গত বছর শীত আসার আগে উত্তর কোরিয়া ১০ থেকে  ১২ হাজার সেনা রাশিয়ায় পাঠায়। এতদিন কোরিয়া এ বিষয় মুখ না খুললেও, সোমবার প্রথমবারের জন্য সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে তারা। 

মূলত এতদিন কোরিয়া এ বিষয় মুখ না খুললেও সোমবার প্রথমবারের মতো সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি। সোমবার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে গতবছর সেনা পাঠায় তারা। 

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউক্রেনের গোয়েন্দা দপ্তর জানিয়েছিল, গত বছর শীত আসার আগে উত্তর কোরিয়া ১০ থেকে  ১২ হাজার সেনা রাশিয়ায় পাঠায়। এতদিন কোরিয়া এ বিষয় মুখ না খুললেও, সোমবার প্রথমবারের জন্য সেনা পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে তারা।   

দুদিন আগেই রাশিয়া ঘোষণা করে কুরস্ক অঞ্চল তারা পুনরুদ্ধার করেছে। এর দুদিন বাদেই উত্তর কোরিয়া সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করে। ইউক্রেন যদিও রাশিয়ার এই দাবি মানেনি।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে নর্থ কোরিয়া মিলিটারি কমিশনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তি অনুযায়ী সেখানে সেনা পাঠান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম জং উনের মধ্যে ২০২৪ সালে এই সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই চুক্তি অনুসারে দুই দেশের মধ্যে কোনো একটি আক্রান্ত হলে অপর দেশটি তাকে সামরিক সাহায্য করবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ঠাণ্ডা যুদ্ধের পর এটিকে দুই দেশের মধ্যে সব থেকে বড় সামরিক চুক্তি বলে মনে করা হয়।

সোমবারে প্রকাশিত কোরিয়ার ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ইউক্রেনের আগ্রাসনকারীদের প্রতিহত করে কুরস্ক অঞ্চলকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যেই রাশিয়াকে সাহায্য করেছে কোরিয়ার সেনা।” 

কিম বলেছেন, “ন্যায়বিচার এবং মাতৃভূমির সম্মান রক্ষায় যারা লড়েন তারা দেশের হিরো”। তিনি আরও জানান, নিহত সেনাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পিয়ংইয়ংয়ে সৌধ স্থাপিত হবে। সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের প্রতিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে।

অবশ্য মোট কত সেনা পাঠানো হয়েছে এবং কত সেনার প্রাণ গেছে সে বিষয়য় উত্তর কোরিয়া কিছু না জানালেও, গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাশিয়াতে প্রায় চার হাজার উত্তর কোরিয়ার সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। এরপর আরও তিন হাজার সেনা পাঠানো হয় বলেও জানিয়েছে তারা।  

উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী ভালোভাবে প্রশিক্ষিত এবং শৃংখলাপরায়ণ হলেও অভিজ্ঞতার অভাবে এবং অপরিচিত অঞ্চল সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে তারা প্রাণ হারাচ্ছেন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ