শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক নেবে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি ও প্রবেশনারি অফিসার, আবেদন শেষ কাল
Published: 6th, April 2025 GMT
বেসরকারি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসিতে জনবল নিয়োগের আবেদন শেষ হচ্ছে আগামীকাল সোমবার। এই ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার (এমটিও) ও প্রবেশনারি অফিসার (পিও) পদে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
১. পদের নাম: ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার (এমটিও)
পদসংখ্যা: অনির্ধারিত
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ-৪.
বয়স: ১৬ মার্চ ২০২৫ সর্বোচ্চ ৩২ বছর।
বেতন-ভাতা: এক বছর প্রবেশনকালে মাসিক বেতন ৪৯,৫০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। প্রবেশনকাল শেষে ফার্স্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে চাকরি স্থায়ী হলে মাসিক বেতন হবে ৭১,৫০০ টাকা।
২. পদের নাম: প্রবেশনারি অফিসার (পিও)
পদসংখ্যা: অনির্ধারিত
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ-৪.০০-এর মধ্যে কমপক্ষে সিজিপিএ-৩.০০ এবং সিজিপিএ-৫.০০-এর মধ্যে কমপক্ষে সিজিপিএ-৪.০০ বা প্রথম শ্রেণি থাকতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫.০০-এর মধ্যে ৪.৫০ অথবা ও লেভেলে ৩টি ‘এ’ ও ২টি ‘বি’ এবং এ লেভেলে ২টি ‘বি’ থাকতে হবে। এমএস অফিস অ্যাপ্লিকেশনের কাজ জানতে হবে।
বয়স: ১৬ মার্চ ২০২৫ সর্বোচ্চ ৩২ বছর।
বেতন-ভাতা: এক বছর প্রবেশনকালে মাসিক বেতন ৩৮,৫০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)। প্রবেশনকাল শেষে অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে চাকরি স্থায়ী হলে মাসিক বেতন হবে ৫২,৯৫৫ টাকা।
শর্ত: নিয়োগের পর থেকে অন্তত পাঁচ বছর এই ব্যাংকে চাকরি করবেন মর্মে বন্ডে সই করতে হবে।
যেভাবে আবেদন
আগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংক নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply Now বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ৭ এপ্রিল ২০২৫।
আরও পড়ুনএক্সিম ব্যাংক নেবে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি, লাগবে না অভিজ্ঞতা, বেতন ৫২ হাজার১৪ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমাদের চলে যেতে হচ্ছে, কোথায় যাব জানি না
ইসরায়েলি বাহিনী আবারও ফিলিস্তিনের গাজার একের পর এক এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করেছে। জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিসের (ওসিএইচএ) তথ্য অনুসারে, ইসরায়েল এখন গাজার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে। বিশাল এলাকাকে নিষিদ্ধ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা কিংবা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির আদেশ জারি করে তারা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে। বিধিনিষেধযুক্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ রাফার একটি বিশাল অংশ। সেখানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত সোমবার একটি নতুন বাস্তুচ্যুতি আদেশ জারি করে ঘোষণা দেয়, তারা প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে লড়াই করতে ফিরে আসছে।
বিধিনিষেধগুলো গাজা সিটির কিছু অংশকেও অন্তর্ভুক্ত করে। সেখানে দেশটির সেনারা শুক্রবার সকালে ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ সম্প্রসারণের জন্য স্থল আক্রমণ শুরু করেছে। এই ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি যুদ্ধের সবচেয়ে বড় গণবাস্তুচ্যুতিগুলোর মধ্যে একটিকে সূচিত করেছে। ফলে আগে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হওয়া লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আবারও পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
গাজা সিটির আগে থেকেই বাস্তুচ্যুত এক বয়স্ক ব্যক্তি আবু হাজেম খালেফ আলজাজিরাকে বলেন, ‘আমাদের এখন সবচেয়ে বড় সংগ্রাম হলো বাস্তুচ্যুতি। এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলাব, তা আমাদের জানা নেই। আমি গাজা শহরের পশ্চিমে যাচ্ছি, এমন কোনো রাস্তা খুঁজছি, যেখানে আমি তাঁবু স্থাপন করতে পারি।’
আরেক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি মাহমুদ আল-ঘারাবলি যোগ করেন, আমাদের জোর করে চলে যেতে হচ্ছে এবং আমরা কোথায় যাব, তাও জানি না। আমরা ক্লান্ত এবং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছি। খবর- আলজাজিরা
হামাসকে কোণঠাসা করতে আক্রমণাত্মক অভিযান তীব্র করার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বুধবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমরা এখন এই উপত্যকা ভাগ করছি এবং ধাপে ধাপে চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছি। ফলে তারা যেন জিম্মিদের আমাদের হাতে তুলে দেয়।
স্থানীয় চিকিৎসা সূত্র এবং গাজার নাগরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মতে, শুক্রবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। আগের দিন তীব্র বোমাবর্ষণের পর এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওইদিন অন্তত ১১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু। বৃহস্পতিবার তুহফা এলাকায় তিনটি স্কুলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৮ শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হন। এসব হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু দার আল-আরকাম স্কুলে হামলায় ১৮ শিশুসহ ২৯ জন নিহত হন। স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল। ওই স্কুলটিতে কমপক্ষে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নিয়ে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৫০ হাজার ৫২৩ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হলো। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি। উপত্যকায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও কয়েক হাজার মানুষের মৃতদেহ পড়ে আছে বলেও ধারণা করা হয়।