কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে ছোট ভাই ও ভাতিজার হামলায় আহত শহিদুল বিশ্বাস (৬০) মারা গেছেন। শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভুরকাপাড়ায় নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাড়ির ভেতর দিয়ে পানি যাওয়াকে কেন্দ্র করে শহিদুল বিশ্বাসের সঙ্গে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর ও ভাতিজা সুইটের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শহিদুল ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায় তারা। এতে শহিদুল গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে ১৫ দিন আগে বাড়ি ফেরেন তিনি। তবে বাড়ি ফিরলেও অসুস্থ ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।

আরো পড়ুন:

শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৬

পলিথিনে মোড়ানো খণ্ডিত মরদেহটি সবুজের

দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, ‘‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে না পেলে মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ বলা সম্ভব নয়।’’

পুলিশ জানায়, হামলার পরদিন শহিদুলের আরেক ভাই আকবর আলী দৌলতপুর থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে অভিযুক্তরা জামিনে রয়েছেন।

ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পুরান ঢাকায় আবাসিক ভবনে আগুন, নিহত ১

রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের একটি বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আগুনের ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভোররাত ৪টা ১০ মিনিটে নাজিমউদ্দিন রোডের একটি ৫তলা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটি প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর সোয়া ৫টার দিকে আগুন নির্বাপন করে।

শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির দোতলা থেকে চতুর্থতলার বাসা থেকে ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অগ্নিকান্ডের কারণ জানা যায়নি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। ধারণা করা হচ্ছে প্রচন্ড ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ