বিদেশি সংস্থায় চাকরি, বেতন বছরে সর্বোচ্চ ৭৮ লাখ ৩ হাজার
Published: 6th, April 2025 GMT
আন্তর্জাতিক সংস্থা মুসলিম এইড বাংলাদেশে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি কান্ট্রি ডিরেক্টর পদে একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া ই–মেইলেও সিভি পাঠাতে হবে।
পদের নাম: কান্ট্রি ডিরেক্টর বাংলাদেশ
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থায় কান্ট্রি ডিরেক্টর বা রিজিওনাল ডিরেক্টর বা নেতৃত্ব/ব্যবস্থাপনার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ডোনার গ্রান্ট ম্যানেজমেন্টে অভিজ্ঞ হতে হবে। ডিজাস্টার প্রিপার্ডনেস প্রোগ্রাম এবং লাইভলিহুডস, হেলথ ও এডুকেশন প্রকল্পে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সাংগঠনিক দক্ষতাসহ কো–অর্ডিনেশন ও প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে দক্ষতা থাকতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। অ্যানালিটিক্যাল দক্ষতাসহ রিপোর্ট লেখায় পারদর্শী হতে হবে। এমএস অফিস অ্যাপ্লিকেশনের কাজ জানতে হবে। ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।
কর্মস্থল: ঢাকা
চাকরির ধরন: তিন বছরের চুক্তিভিত্তিক
বেতন: বছরে বেতন ৬২,৪২,৮৮০ থেকে ৭৮,০৩,৬০০ টাকা (অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে)।
আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের কভার লেটারসহ (এক পৃষ্ঠা) সিভি [email protected] ঠিকানায় ই–মেইল করতে হবে। ই–মেইলের সাবজেক্টে ‘কান্ট্রি ডিরেক্টর বাংলাদেশ’ লিখতে হবে। মুসলিম এইডের ওয়েবসাইটের এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply For This Role বাটনে ক্লিক করে আবেদন করা যাবে।
আবেদনের শেষ সময়: ২০ এপ্রিল ২০২৫।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে বন্দর আব্বাসের বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০
ইরানের বন্দর আব্বাসের কাছে শহীদ রাজয়ি বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ১০০০ জন।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা বিবিসি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, শহীদ রাজয়ি বন্দর ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরে অবস্থিত। এটি ইরানের সবচেয়ে উন্নত কনটেইনার বন্দর। বন্দর আব্বাস শহরের ২৩ কিলোমিটার পশ্চিমে ও হরমুজ প্রণালির উত্তরে অবস্থিত এই কনটেইনার বন্দর। এ প্রণালি দিয়ে বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ তেল পরিবহন করা হয়।
শনিবার ওই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পরও রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, বন্দর এলাকা থেকে ঘন কালো ধোঁয়া উড়ছে এবং সেখানে জ্বলতে থাকা বহু কনটেইনারের আগুন নেভাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইরানের সংকট ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন জাফরি শহীদ রাজয়িতে থাকা কনটেইনারগুলোয় রাসায়নিকের অনিরাপদ মজুত বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের কারণ কনটেইনারের ভেতরে থাকা রাসায়নিক।’
হোসেইন জাফরি আরও বলেন, এর আগেও সংকট ব্যবস্থাপনা সংস্থার মহাপরিচালক পরিদর্শনের সময় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন, সম্ভাব্য বিপদের কথা বলেছিলেন।
অন্যদিকে ইরানের সরকারি মুখপাত্র বলেন, বিস্ফোরণের পেছনের কারণ হতে পারে রাসায়নিক। তবে সুনির্দিষ্ট কারণ এখনই বলা সম্ভব নয়।
বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসকান্দার মোমেনিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগুন নেভানো ও অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।