গাজায় দিনরাত সমানে চলছে ইসরায়েলের বর্বর বোমা হামলা। ধ্বংসযজ্ঞ আর নিরীহ নারী-শিশুর আর্তনাদে ভারি ফিলিস্তিনি উপত্যকাটি। মা-বাবার কোল থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে শিশুদের। গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ শিশু হতাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। দেড় বছর ধরে চলা দখলদার দেশটির আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১৯ হাজার শিশু। মা-বাবা হারানো শিশুর সংখ্যা ৩৯ হাজার। নির্বিচারে শিশুদের হত্যার জন্য ইসরায়েল ও দেশটির নেতাদের বিচারের দাবি জানিয়েছে হামাস। ৫ এপ্রিল ফিলিস্তিনের শিশু দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। খবর আল জাজিরার। 

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গত ১৮ মার্চ নতুন করে হামলা শুরুর পর গাজায় প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ শিশু হতাহত হচ্ছে। এটি সাধারণ মানবতার ওপর কলঙ্ক। শিশুদের তৈরি নয় এমন একটি যুদ্ধে তাদের জীবন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সেখানকার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ এবং এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে শিশুদের ওপর। প্রতিদিন হতাহতের সংখ্যা যে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে, তা বিশেষ উদ্বেগের বিষয়। 

গত ১ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হয়। এরপর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় সব মানবিক সাহায্যের ওপর পূর্ণ অবরোধ আরোপের ঘোষণা দেন। দুই সপ্তাহ পর ইসরায়েল উপত্যকাজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে। 

ফিলিপ লাজারিনি বলেন, পুনরায় হামলা শুরু হওয়ায় তাদের শৈশব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে শিশুদের জন্য কোনো জায়গা নেই– এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদেরকে হত্যা কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। 

গাজা সিটির আল-আহলি হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য আর কোনো জায়গা অবশিষ্ট নেই বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৬২ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ৫০ হাজার ৬৬৯ জন নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ২২৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হন। 
গত কয়েক সপ্তাহে গাজাজুড়ে মানবিক পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছে ৪ লাখ মানুষ

পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে কমপক্ষে চার লাখ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। শনিবার পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি জানিয়েছেন, ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে কমপক্ষে চার লাখ মানুষ উপস্থিত ছিলেন এবং রোমের রাস্তায় তারা সারিবদ্ধভাবে ছিলেন। ভ্যাটিকানের ধারণা ছিল, আড়াই লাখ মানুষ শেষকৃত্যে অংশ নিতে পারে।

তিনি বলেছেন, “আমরা অনুমান করি যে সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে উপস্থিত এবং পথের ধারে সব মিলিয়ে লোকের সংখ্যা চার লাখের কম হবে না।”

৮৮ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস গত সোমবার মারা যান। শনিবার তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনসহ অনেক বিশ্বনেতা অংশ নিয়েছেন।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাশ্মীরে ৯টি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী 
  • পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছে ৪ লাখ মানুষ