বেড়ানো শেষ করে বাড়ি ফেরা হলো না শিশুটির
Published: 5th, April 2025 GMT
ঈদের ছুটিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ফুফাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে তিতাস নদীতে গোসল করতে নেমে মারিয়া আক্তার নামে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে হোমনা পৌরসভা শ্রীমদ্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারিয়া আক্তার (১১) নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকার আলী নেওয়াজের মেয়ে। নেওয়াজের বাড়ি হোমনা উপজেলায় হলেও তিনি নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন।
জানা গেছে, ঈদের দুই দিন পর ফুফাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে মারিয়া আক্তার। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ফুফাতো বোনের মেয়ে সমবয়সী ফাতেমা তুজ জোহরার সঙ্গে তিতাস নদীতে গোসল করতে যায় মারিয়া। নিখোঁজের আগে মারিয়া তার ভাগনি ফাতেমাকে বাড়িতে সাবান রেখে আসতে বলে, সে আরেকটু গোসল করবে এর পরও ফাতেমা তাকে ছাড়া যেতে রাজি হয়নি। আবার বললে বাড়ি যায় ফাতেমা, বাড়ি গিয়ে তার ভাইকে জানায়। পরে মারিয়ার ভাই এমদাদুল গিয়ে তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে মারিয়াকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। চাঁদপুর থেকে আসে ডুবুরি দল। কিন্তু শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। আজ রোববার সকালে আবার উদ্ধার অভিযান চালানো হবে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন শিশুটির মা-বাবা।
ফায়ার ফাইটার রেজওয়ান সমকালকে জানান, শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে খবর পেয়ে আমাদের উদ্ধারকারী দল ও চাঁদপুরের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালায়। কিন্তু শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। রোববার সকালে আবার উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।
ফাতেমা জানায়, ‘নিখোঁজ মারিয়া আমাকে বলে তার গরম লাগছে গোসল করবে। এর পর আমরা ঘাটে যাই, গোসল করি। সে পানি পেয়ে উঠতে চায় না, বলে খালা তুমি সাবানটা রেখে আসো আমি আসতাছি। আমি বলি না, এখন আমার সঙ্গে আয়, সে বলে আসতাছি তুমি যাও। পরে আমি বাড়ি গিয়ে মারিয়ার বড় ভাই এমদাদুল মামাকে জানাই। এর পর ঘাটে এসে আর পাই না, আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে, তাকে খুঁজে না পেয়ে।’ একসঙ্গে কত মজা করেছে বলেই কান্নায় ভেঙে পড়ে ফাতেমা।
হোমনা থানার ওসি নাজমুল হুদা বলেন, ‘পুলিশ পাঠিয়েছি। ফায়ার সার্ভিসকে বলেছি, ডুবুরি দল এনে শিশুটি উদ্ধার করতে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কার কমিশনে যারা আছেন প্রত্যেকেই একেকজন তসলিমা নাসরিন : মামুনুল হক
বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, সংস্কার কমিশনে যারা আছেন প্রত্যেকেই একেকজন তসলিমা নাসরিন। এই প্রস্তাবনা বাতিল করলেই হবে না। কমিশন বাতিল করতে হবে। তারা আল্লাহর কুরআনকে সরাসরি কটাক্ষ করেছে।
এই ধরনের কটাক্ষকারীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার কারণে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। একজনও যেন বাংলাদেশে না থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদ ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন শহরের ডিআইটি মসজিদের দ্বিতীয় তলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মাওলানা মোহাম্মদ মামুনুল হক বলেন, নারী কমিশন তাদের প্রস্তবনায় বলেছে নারী অধিকারের ক্ষেত্রে উত্তরাধিকার আইনের ক্ষেত্রে কুরআন হলো প্রতিবন্ধক ধর্মীয় আইন হলো প্রতিবন্ধক। তারা চাচ্ছে উত্তরাধিকার এবং পারিবারিক আইনের ক্ষেত্রে সকল ধর্মের অভিন্ন আইন প্রণয়ন করা। অর্থ্যাৎ এক আইন অনুযায়ী সকল ধর্মের লোকদের বিয়ে হবে।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের অনেক জায়গায় যেখানে ধর্মের কোনো বালাই নাই। তারা বাংলাদেশেও এটা চাচ্ছে যাতে বিয়ের ক্ষেত্রে ধর্মের কোনো আইন প্রয়োজন পড়বে না। তারা বাংলাদেশের পরিবার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে চায়।
পশ্চিমা বিশ্বের মতো লাগামহীন জীবন আচার চলবে। নারী পুরুষের বৈবাহিক বন্ধনের প্রয়োজন হবে না। যখন যার ইচ্ছা তার সাথে সাথে থাকবে। তারা এই মিশন নিয়ে নামছে।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদের সভাপতি আল্লামা আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির আমীর আল্লামা আব্দুল হামিদ মধুপুরী, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদির ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবু তাহের জিহাদীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।