ইংরেজি শেখা এখন কেবল প্রয়োজনীয় নয়, বরং এটি অত্যাবশ্যক দক্ষতা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শিশুর জন্য ইংরেজির গুরুত্ব অপরিসীম, কারণ ভবিষ্যতের শিক্ষা ও কর্মজীবনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই চাহিদাকে মাথায় রেখে হেডম্যান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ইমাম হোসেন শুরু করেছেন ‘কিডস ইংলিশ’, যা শিশুদের জন্য ইংরেজি শেখার এক ব্যতিক্রমী ও মজার প্ল্যাটফর্ম। ইমাম হোসেনের এ উদ্যোগ শিশুশিক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যেখানে মজার কৌশল, খেলাধুলার মাধ্যমে শেখানো পদ্ধতি ও বাস্তব জীবনের উদাহরণ ব্যবহার করে ইংরেজি শেখানো হয়।
আমাদের দেশে অনেক শিক্ষার্থীই বিষয় হিসেবে বা ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে ইংরেজির নাম শুনলেই ভয় পেত বা এখনও ভয় পায়। ইমাম হোসেন বলেন, ‘এই ভয়কে বিদায় জানাতে ২০১৮ সালে গড়ে তুলি হেডম্যান একাডেমি নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে শেখার মানেই মজা। মাত্র ১৫৫ স্কয়ার ফুটের ছোট্ট এক অফিস থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিষ্ঠান আজ ১০,৫০০ স্কয়ার ফুটের বিশাল ক্যাম্পাসে ঢাকা এবং সিলেটে ৩,০০০ স্কয়ার ফুটে বিস্তৃত। তার চেয়েও বড় বিষয় হলো– হেডম্যান একাডেমির ছড়িয়ে পড়া ভাষা শেখার ভয়হীন এক নতুন দর্শনে। এই হেডম্যান একাডেমির অনন্য উদ্যোগ কিডস ইংলিশ। মূলত শিশুদের ইংরেজি ভয় দূর করতে ও আনন্দের সঙ্গে উপযুক্ত পরিবেশে ইংরেজি শেখানোর লক্ষ্যে ২০১৮ সালে গড়ে তুলি এ প্ল্যাটফর্মটি। শিশুরা যখন আনন্দের সঙ্গে শেখে, তখন তাদের দক্ষতা দ্রুত বিকাশ লাভ করে। কিডস ইংলিশ সেই চিন্তাভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে, যা অভিভাবকদের জন্যও স্বস্তির বার্তা।’
‘কিডস ইংলিশ’ প্লে-লার্নিং বা খেলার মাধ্যমে শেখার পদ্ধতি অনুসরণ করে। এখানে রয়েছে আকর্ষণীয় গল্প বলা, ইন্টারঅ্যাকটিভ ভিডিও, রোল-প্লে, ফ্ল্যাশকার্ড এবং গানের মাধ্যমে শব্দ শেখার মজার পদ্ধতি। শিশুরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলা ও বিভিন্ন বাস্তব জীবনের পরিস্থিতি অনুশীলন করার সুযোগ পায়, যা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। শুধু শিশুরাই নয়, অভিভাবকদের জন্যও ‘কিডস ইংলিশ’ স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে। অনেক অভিভাবক সন্তানদের ইংরেজি শেখানোর উপযুক্ত উপায় বা পরিবেশ খুঁজে পান না। তাদের জন্য ‘কিডস ইংলিশ’ এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শিশুরা খেলতে খেলতে শেখে এবং ইংরেজি ভয় কাটিয়ে ওঠে।
ইমাম হোসেন বলেন, ‘শিশুদের ইংরেজি ডেভেলপমেন্টের জন্য আমরা প্রথম আলাদাভাবে চিন্তা করে কিডস ইংলিশ নিয়ে কাজ শুরু করেছি! ২০২৪ সালে এসে শিশুদের ইংরেজি শেখার জন্য যে পরিবেশ দরকার আমরা সে পরিবেশও নিশ্চিত করেছি। আমাদের লক্ষ্য শিশুদের ইংরেজির প্রতি ভয় কাটিয়ে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করা। আমরা চাই তারা আনন্দের মাধ্যমে শিখুক এবং ভাষাটিকে সহজভাবে রপ্ত করুক।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গৃহকর নিয়ে প্রশাসকের সঙ্গে বাসিন্দাদের হট্টগোল
গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) ধার্যের বিষয়টি নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে হট্টগোল করেছেন অঞ্চল-৭-এর আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত গণশুনানির শেষের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি শেষ করে ওই অঞ্চলের চারটি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে অঞ্চল-৭-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সেখানে গৃহকর কীভাবে আদায় হবে, কী ছাড় পাওয়া যাবে—এসব বিষয়ে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে বলা হয়। হট্টগোলকারীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রশাসকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
গণশুনানিতে দেখা যায়, নাগরিক সেবা নিয়ে চারটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বিভিন্ন সংকট, সমস্যা ও অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, তাঁরা ২০১৮ সাল থেকে নয়, ২০২৪ সাল থেকে গৃহকর পরিশোধ করবেন। প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বাসিন্দাদের বলা অভিযোগগুলোর সমাধান, পদক্ষেপ ও করপোরেশনের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় নিয়ে বাসিন্দাদের দাবিদাওয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন।
প্রশাসকের বক্তব্য ছিল, আইন অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকেই গৃহকর পরিশোধ করতে হবে। তবে গৃহকরের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা ও সড়ক বাতি বাবদ যে কর আদায় করা হয়, সেই ৫ শতাংশ কর আপাতত আদায় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিধিমালা অনুযায়ী গৃহকরে একজন গ্রাহক যেসব ছাড় পান, সেসব ছাড়ের ব্যবস্থাও করা হবে বলেও জানান। সেই হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে যে টাকা কর আসবে, ২০১৮ থেকে একই পরিমাণ কর দিতে হবে।
কিন্তু প্রশাসকের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি শুনানিতে অংশ নেওয়া বাসিন্দারা। তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে এর প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে সামনের সারিতে বসা কিছু ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে মঞ্চে থাকা প্রশাসকের সামনে গিয়ে বলতে থাকেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানেন না। তাঁরা ২০২৪ সাল থেকেই কর দেবেন।
মিনিট পাঁচেক এমন হট্টগোল আর চেঁচামেচি চলে। ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত হওয়া ব্যক্তিদের শান্ত করেন।
ঢাকা উত্তর সিটির ওই অঞ্চলের কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উত্তেজিত ব্যক্তিদের শান্ত করার চেষ্টা করেন