ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) প্রযুক্তির ইকোসিস্টেম ‘আলো’ উদ্ভাবন করেছে গ্রামীণফোন। প্রথম প্রচারণায় ঘোষণা করা হয়েছে বিশেষ অফার।
আলো স্মার্ট সল্যুশনের মাধ্যমে গ্রাহক তার দূরের প্রিয়জনের বিশেষ নজরদারি করার সুযোগ পাবেন। দৈনন্দিন জীবনকে আরও নিরাপদ, সংযুক্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে সমাধানটি বিশেষ সহায়ক হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
উল্লিখিত স্মার্ট পরিষেবা সহজলভ্য করতে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া যাবে বিশেষ ছাড়। আলো ইনডোর সিসিটিভি ক্যামেরায় গ্রাহক পাবেন হাজার টাকার ভাউচার। মাইজিপি অ্যাপ থেকে পরিষেবা নিলে বাড়তি ৫ জিবি ডেটা বোনাস পাওয়া যাবে। অন্যদিকে, জিপি স্টার গ্রাহক মাইজিপির মাধ্যমে পরিষেবা নিলে বাড়তি সুবিধায় পাবেন হাজার টাকার ভাউচার, ৫ জিবি ডেটা বোনাস ও বিশেষ ছাড়।
জানা গেছে, দারাজ স্টোর থেকে কিনলেও হাজার টাকার ভাউচার পাওয়া যাবে। গ্যাস ডিটেক্টর ও ভেহিক্যাল ট্র্যাকার কেনায় গ্রাহক নগদ টাকার ভাউচার পাবেন। টেলকো-টেকে পরিণত হতে উদ্যোক্তার লক্ষ্যের সঙ্গে এমন অফার সামঞ্জস্যপূর্ণ। অপারেটরের লক্ষ্য হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে টেলিযোগাযোগের সমন্বয় ঘটানো। ফলে গ্রাহকের ডিজিটাল অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ ও নিরাপদ হয়। অন্যদিকে, বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সল্যুশনের মাধ্যমে জীবনের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়।
গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) ফারহা নাজ জামান বলেন, অত্যাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর ও গ্রাহকবান্ধব সমাধান দিতে কাজ করছি। নিজস্ব আইওটি পরিষেবা আলো দিয়ে আমরা গ্রাহকের জীবনকে সুরক্ষিত করতে চাই। যেন গ্রাহক টেলিযোগাযোগের বাইরে বিশেষ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। অগ্রযাত্রায় টেলকো-টেক হতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া।
আলো সল্যুশন গ্রাহককে সংযুক্ত ও সুরক্ষিত রাখতে নিরবচ্ছিন্ন ও বুদ্ধিমত্তাকেন্দ্রিক সল্যুশন আনার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরে নিয়মিত কাজ করছে অপারেটরটি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কারের পক্ষে ‘মার্চ ফর ঢাকা’ কর্মসূচি দেবে ইসলামী আন্দোলন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সময় দিতে চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বিভিন্ন কর্মসূচিতে দলটির নেতারা একাধিকবার জানিয়েছেন, সংস্কারের আগে নির্বাচন মেনে নেবেন না তাঁরা। সংস্কারের পক্ষে দলটি শিগগিরই ‘মার্চ ফর ঢাকা’ কর্মসূচি দেবে বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম।
আজ শনিবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত এক সমাবেশে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অচিরেই মার্চ ফর ঢাকা ঘোষণা দেব। লাখ লাখ, কোটি কোটি মানুষ ঢাকায় জমায়েত করব। (আমরা জানতে চাই) কারা সংস্কারের পক্ষে আর কারা বিপক্ষে। জনগণই নির্ধারণ করবে আগে সংস্কার হবে নাকি নির্বাচন হবে।’
ভারতের ওয়াক্ফ আইনের প্রতিবাদ এবং নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। কেবলই নির্বাচন, নির্বাচন। আগে সংস্কার হবে, তারপর নির্বাচন হবে। সংস্কারের বাইরে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন মানবে না। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে টেস্ট হিসেবে আমরা স্থানীয় নির্বাচন চাই। স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারলে বুঝব জাতীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে। নাহলে বুঝতে হবে, নির্বাচনের পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি।’
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম। তিনি বলেন, ‘শুধু কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান এবং কমিশন বাতিল করলেই হবে না; বরং সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’ ভারতে ওয়াক্ফ আইন পরিবর্তন করে সে দেশে মুসলমানদের নির্মূল করার অপচেষ্টা চলছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, জাতিসংঘ, ওআইসিসহ সব সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।
গণমিছিল–পূর্ববর্তী এই সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনূস আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, দপ্তর সম্পাদক লোকমান হোসাইন জাফরী, সংখ্যালঘুবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মকবুল হোসাইন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।