মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধিতে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
Published: 5th, April 2025 GMT
বাংলাদেশি পণ্যে আমেরিকার শুল্ক বৃদ্ধির ফলে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আমেরিকায় বাংলাদেশি পণ্যে আরোপিত শুল্ক পর্যালোচনায় জরুরি এ বৈঠক ডাকেন প্রধান উপদেষ্টা ড.
আরো পড়ুন:
টিকটককে আরো ৭৫ দিন সময় দিলেন ট্রাম্প
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক: জরুরি পর্যালোচনা সভায় বসছে সরকার
বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “নতুন শুল্ক নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নিজেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলবেন। আমদানি বাড়ানোর মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো হবে। মার্কিন শুল্ক বাড়ার ফলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।”
গত বুধবার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে আমেরিকা। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার আমেরিকা। ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ এর ফলে দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি কমে যেতে পারে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন আমেরিকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার যোগাযোগ রেখে আসছে।
সেখ বশির বলেন, “গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান নিজেই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন। আমাদের উদ্দেশ্য তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা। আমরা বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে চাই। এর জন্য করণীয় কি হতে পারে উভয় পক্ষেরই, এটি নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা আমদানি নীতি সংশোধন করেছি। এর ফলে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।”
এদিকে নতুন শুল্ক আরোপে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “নতুন শুষ্ক নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। আমরা এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।”
খলিলুর রহমান বলেন, “আমি গত ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকায় যাই, প্রথমেই স্টেট ডিপার্টমেন্টে আমাদের বিষয়গুলো উত্থাপন করি। কয়েকটি ডিপার্টমেনটের সঙ্গে কথা হয়। শুরু থেকেই আমরা এনগেজড আছি। ভয়ের কিছু নেই। আমরা আমেরিকার সঙ্গে নিবিড় আলোচনায় আছি। আমাদের প্রতিক্রিয়া তাদের পাঠাব।”
হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, “আমার সঙ্গে কয়েক দিন আগে আমেরিকার ডেপুটি ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারের কথা হয়েছে। আমরা তাদের জানিয়েছি। তারা আমাদের বিষয় জানেন। প্রধান উপদেষ্টা আগেই বিষয়টি অনুধাবন করেছেন এবং সময় মত ব্যবস্থা নিয়েছেন। ধারণা করছি, যখন রিবেটের অনুরোধ করব, তখন ইতিবাচক সাড়া পাব।”
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ব ণ জ য উপদ ষ ট আম র ক র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তানের প্রতি উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান চীন-যুক্তরাষ্ট্রের
কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে রয়েছে। সীমান্তে চতুর্থ রাতের মতো গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে উত্তেজনা নিরসনে দুই পক্ষকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।
সংযম প্রদর্শনের আহ্বান চীনের
রোববার পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে কথা বলেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েং ই। পেহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তান যে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে, তার প্রতি বেইজিংয়ের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন তিনি।
চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে ওয়েং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘চীন একটি দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের পক্ষে এবং বিশ্বাস করে যে, এই সংঘাত পাকিস্তান ও ভারত কারো মৌলিক স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে না, তা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যেও উপকারী নয়।’
দুই পক্ষই সংযম প্রদর্শন করবে এবং উত্তেজনা নিরসনে এগিয়ে আসবে, এমনটা প্রত্যাশা তার। ওয়েং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লামির সঙ্গেও আলাপ করেছেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ‘ভারতের মিথ্যা দাবি, ভিত্তিহীন প্রচারণা এবং একতরফা পদক্ষেপ’ নিয়ে তারা কথা বলেছেন।
‘দায়িত্বশীল সমাধান’ চায় যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর রোববার জানিয়েছে তারা ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। দুই দেশই যাতে একটি ‘দায়িত্বশীল সমাধান’ নিয়ে কাজ করে সেটি চায় যুক্তরাষ্ট্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন তারা দুই দেশের মধ্যকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত ও পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ রেখেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে একটি দায়িত্বশীল সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে।’
হামলার পরপর যুক্তরাষ্ট্র ভারতের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছিল। চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার।
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। হামলায় পাকিস্তানকে দায়ী করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় ভারত। নিজেদের কোনো সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও। সূত্র: ডয়েচে ভেলে