সিলেট নগরে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিলবোর্ড স্থাপন করে পথচারীদের দৃষ্টিগোচর করতে সড়ক বিভাজকের গাছের ডাল কাটায় বিএনপির এক নেতার দলীয় সব পদ স্থগিত করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। পদ স্থগিত হওয়া ওই নেতার নাম মো. আমির হোসেন। তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সিলেট মহানগরের কয়েকটি স্থানে রোড ডিভাইডারের গাছের ডাল কেটে আপনার (আমির হোসেন) ঈদের শুভেচ্ছা বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। ফলে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এতে আমির হোসেন দলীয় নির্দেশনা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। বিষয়টি ইতিমধ্যেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে এসেছে। আমির হোসেনের এই গর্হিত কাজের জন্য নির্দেশক্রমে আগামী তিন মাসের জন্য তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পদ স্থগিত করা হলো।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা আমির হোসেন ঈদের আগে নগরের মদিনা মার্কেট এলাকায় ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিলবোর্ড লাগিয়ে ছিলেন। এ সময় বিলবোর্ড পথচারীদের দৃষ্টিগোচর করতে সড়ক বিভাজকে থাকা গাছের ডালপালা কেটে দেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরে বিলবোর্ডটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম র হ স ন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ