রংপুরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু
Published: 5th, April 2025 GMT
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় ভাড়াটিয়া ও দোকান মালিকের দ্বন্দ্বের জের ধরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত লাভলু মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি রংপুর মিডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদরগঞ্জ থানার ওসি একেএম আতিকুর রহমান।
আরো পড়ুন: রংপুরে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫
আরো পড়ুন:
রংপুরে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫
ভারতের মদদেই হাসিনা স্বৈরাচার হয়েছেন: এ্যানি
নিহত লাভলু মিয়া বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ওসি বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় আহত লাভলু মিয়াসহ ছয়জনকে আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় লাভলু মিয়া মারা যান।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ১৩ নম্বর কালুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক পক্ষের মধ্যে আজ দোকান ভাড়া নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, সংঘর্ষের পর বিএনপির ওই দুই নেতাসহ বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর মানিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ন হত আহত বদরগঞ জ উপজ ল ব এনপ র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
লোকের পেছনে অনেক তেল মেরেছি আর না: অর্জুন
ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী। মৌসুমী চ্যাটার্জি, মুনমুন সেন, দেবশ্রী রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে জুটি বেঁধে পর্দা কাঁপিয়েছেন। যদিও প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি, তাপস পাল কিংবা চিরঞ্জিতের সঙ্গে নায়কের দৌড়ে পেরে উঠেননি। তবে সহনায়ক কিংবা চরিত্রাভিনেতা হিসেবে মুঠো মুঠো ভালোবাসা কুড়িয়েছেন অর্জুন।
পরিচালক গুলজারের সহকারী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন অর্জুন। কিন্তু কলকাতায় ফিরে হয়ে যান পুরোদস্তুর অভিনেতা। যদিও পরবর্তীতে সুচিত্রা ভট্টাচার্যের কাহিনি নিয়ে ‘টলিলাইটস’ সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন অর্জুন। কিন্তু এখন না অভিনয়, না নির্মাণ কোথাও দেখা নেই অর্জুন চক্রবর্তীর। কেন নেই সেই প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে অর্জুন চক্রবর্তী বলেন, “এক সময় লোকের পেছনে অনেক তেল মেরেছি। কিন্তু আমার চোখেমুখে সেই তেল ফুটে উঠত। এই বয়সেও অভিনয়ের সুযোগ পেতে এখনকার পরিচালকদের তেল দিতে হবে! আবার সিনেমা পরিচালনা করতে গেলে নিত্যনতুন প্রযোজকদের তেল দিতে হবে। এখন এই বয়সে নিজেকে প্রমাণ করার আর কিছু নেই। তবু আমাদের ইন্ডাস্ট্রির এমনই অবস্থা। আর আমি ভীষণ অলস। এসব করার ইচ্ছা আর নেই।”
অভিনয়ে বা নির্মাণে না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে অর্জুন চক্রবর্তী বলেন, “এখনো মানুষ আমার ভুল ধরে। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছে। সিনেমা কবে বানাব, তা আর ঠিক করিনি। লেখা চিত্রনাট্য অনেক পড়ে আছে। কিন্তু প্রযোজক পাচ্ছি না। আমার কাছে এত তেলের ভাণ্ডার নেই যে, সবাইকে তেল দেব। তাই আমাকে পর্দায় কম দেখছেন। এতদিন যা কাজ করেছি, আর কোনো কাজ না করলেও চলবে।”
১৯৮৩ সালে হিন্দি ভাষার ‘জারা সি জিন্দেগী’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন অর্জুন। বলিউডের এই সিনেমায় কমল হাসানের মতো তারকাদের সহশিল্পী হিসেবে পান। তিন বছর বিরতি নিয়ে বলিউডের ‘অঙ্কুশ’ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন অর্জুন। ১৯৮৯ সালে মৃণাল সেন নির্মিত ‘এক দিন আচানক’ সিনেমায় অভিনয় করেন। একই বছর ‘প্রণামী তোমায়’ দিয়ে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় পা রাখেন। এরপর অনেক সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।
ঢাকা/শান্ত