নিহত রেমিটেন্স যুদ্ধা নারীর টাকা আত্মসাৎ : বন্দর থানায় অভিযোগ
Published: 5th, April 2025 GMT
প্রবাসে মৃত্যু বরণকারি রেমিটেন্স যুদ্ধা নারী বন্দরে পিংকি আক্তারের পাঠানো ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় যৌতুক লোভী স্বামী বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে নিহতের বড় বোন আঁখি আক্তার বাদী হয়ে যৌতুক লোভী স্বামী বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ বছর পূর্বে বন্দর থানার দেওলী চৌরাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মালেক মিয়ার মেয়ে পিংকি আক্তারের সাথে সুদূর কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার গাড়মাছুয়া গ্রামের সাঈদ ফকিরের ছেলে বাদল মিয়ার সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়।
বর্তমানে তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বাদল মিয়া তার স্ত্রী পিংকি আক্তারকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল ।
এক পর্যায়ে পাষান্ড স্বামী বাদল মিয়া যৌতুকের টাকা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য বিয়ের ৫ বছর পর পিংকি আক্তারকে দুবাই পাঠায় তার স্বামী ।
সেখানে দীর্ঘ ২ বছর প্রবাসে থাকা কালিন সময়ে প্রবাসী পিংকি আক্তার ১০ লাখ টাকা যৌতুক লোভী স্বামীর হাতে তুলে দেয়। যৌতুক লোভী স্বামী ওই টাকা দিয়ে তার দেশের বাড়িতে বসত বাড়ী নির্মান, মোটর সাইকেল, অটো গাড়ী ক্রয় করে। পরে প্রবাসী পিংকি বেগম দুবাই প্রবাসে জীবন যাপন করে দেশে চলে আসে।
পরবর্তীতে গত ২ মাস ৬ দিন পূর্বে প্রবাস ফেরৎ পিংকি আক্তারকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার স্বামী তাকে জোধপূর্বক আবারো সৌদি আরবে পাঠায়। সেখানে প্রবাস জীবনযাপনকালে গত ২এপ্রিল তারিখে দিবাগত রাত ১২.
বিষয়টি সৌদি আরবে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা আমার বোনের মৃত্যুর সংবাদ আমাদের জানালে আমরা সাথে সাথে বিষয়টি ছোট বোনের স্বাসী বাদলকে অবগত করলে বাদল মিয়া নানা ভাবে তালবাহানা করে কোন কর্ণপাত না করে উল্টো মৃত্যুবরণকারি প্রবাসী নারী স্বজনদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রর্দশন করে।
যৌতুক লোভী স্বামী কাছ থেকে কোন রকম সহযোগিতা না পেয়ে নিহত প্রবাসী স্বজনরা প্রবাসী মন্ত্রনালয়ে লাশ ফেরত পাওয়ার জন্য লিখিত ভাবে আবেদন করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব দল ম য় প রব স
এছাড়াও পড়ুন:
সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে।
এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়।
লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।
২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে।