চট্টগ্রাম নগরের মধ্যম হালিশহর এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে চাঁদনী খাতুন নামে এক নারী পোশাক শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে স্থানীয় বাকের আলী টেকের মোড় সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত চাঁদনী খাতুন খুলনা জেলার দাকোপ থানার খাজুরিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার মেয়ে। তিনি সিইপিজেডের এভারটোব বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর) মাহমুদুল হাসান বলেন, পোশাকশ্রমিক ওই নারী পায়ে হেঁটে বাসায় ফেরার পথে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায় এক যুবক। স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘাতককে আমরা এখনো শনাক্ত করতে পারিনি। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার রহস্য বের করা চেষ্টা করছি।

পুলিশ জানায়, পোশাকশ্রমিক চাঁদনী খাতুন হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। কে, কী কারণে তাকে ছুরিকাঘাত করেছে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে এটি প্রেমঘটিত, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ও পূর্ব শত্রুতার কারণে ঘটে থাকতে পারে। ছিনতাইয়ের মতো কোনো ঘটনা মনে হয়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য ছ র ক ঘ ত হত য

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ