গত ২৬ মার্চ জাতীয় স্মৃতিসৌধে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার কারণে কয়েক জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে জয় বাংলা স্লোগান কোনো দলের নয়, ব্যক্তির নয় গোষ্ঠীর নয়। এটা মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান, স্বাধীনতার স্লোগান। আমি গত ২৫ বছর একবারের জন্য জয় বাংলা বলিনি। শপথ করে বলছি আমি এখন থেকে জয় বাংলা বলব।

গত শুক্রবার রাতে কালিহাতী উপজেলার আউলিয়াবাদ গ্রামে তার বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

কাদের সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আজকে এত দালান-কোঠা ঘরবাড়ি এর কিছুই হতো না। কিন্তু বড় দুর্ভাগ্যের বিষয় আজ অনেকে সেই স্বাধীনতাকে মনেই করতে চায় না। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। কেউ কেউ মনে করতে চায় এটা স্বাধীনতার পতন হয়েছে। না তা কোনো মতেই না।

তিনি বলেন, যে নেতারা বিপ্লব ঘটিয়েছে স্বাধীনতা না থাকলে আজকে এটা সম্ভব হতো না। বিপ্লবের জন্য আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। তারা যদি ঠিকভাবে চলতে পারতো তাহলে তাদের মানুষ বহুবছর স্মরণ রাখতো। কিন্তু তারা স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তারা বঙ্গবন্ধুকে মানে না। জিয়াউর রহমানকে মানে না। তারা আমাদের কাউকেই মানে না। এটা ভালো কথা নয়।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, বঙ্গবীরের স্ত্রী নাছরিন সিদ্দিকী, তাদের ভাই মুরাদ সিদ্দিকীর স্ত্রী নিহার সিদ্দিকী প্রমুখ। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জয় ব ল স ব ধ নত

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবী ঠান্ডা করার জন্য নেওয়া হচ্ছে সাহসী পরিকল্পনা

সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরুদ্ধে উষ্ণায়নের প্রভাব কমাতে নতুন এক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশ্বের তাপমাত্রা কমাতে সূর্যের আলো কমানোর একটি পরীক্ষা যুক্তরাজ্য সরকার অনুমোদন দেবে বলে জানা গেছে। প্রায় পাঁচ কোটি পাউন্ডের একটি কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ছোট আকারের পরীক্ষা চালানোর মাধ্যমে পৃথিবী ঠান্ডা করতে চেষ্টা করা হবে বলে জানা গেছে। যুক্তরাজ্যের অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেনশন এজেন্সি (এআরআইএ) সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং নামের এই প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে।

যুক্তরাজ্য সরকারের এই কার্যক্রম বিজ্ঞানীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এআরআইএর পরিচালিত পরীক্ষার মধ্যে একটি হচ্ছে সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করা হবে। এ জন্য স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ক্ষুদ্র কণা নিঃসরণের মাধ্যমে প্রতিফলিত করা হবে। আরেকটি সম্ভাব্য উপায় হিসেবে মেরিন ক্লাউড ব্রাইটনিং প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। নিম্ন স্তরের মেঘের প্রতিফলন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আকাশে লবণ কণা স্প্রে করা হতে পারে।

সূর্যের আলো প্রতিফলিত করার জন্য স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ক্ষুদ্র কণা নিঃসরণকে স্ট্র্যাটোস্ফেরিক অ্যারোসল ইনজেকশন বলা হয়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রতিফলিত কণা বা অ্যারোসলকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে সূর্যের কিছু আলো মহাকাশে প্রতিফলিত হয়। এতে পৃথিবীতে আসা সৌর বিকিরণের পরিমাণ হ্রাস পাবে। বিমান, বেলুন বা অন্য কোনো উপায়ে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে সালফেট বা অন্যান্য প্রতিফলিত কণা হিসেবে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট নিঃসরণ করার প্রস্তাব রয়েছে। এসব কণা সূর্যালোককে প্রতিফলিত করে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা হ্রাস করতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মাত্র ১-২ শতাংশ সৌর বিকিরণ প্রতিফলিত করতে পারলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। যদিও এই পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। এমন কর্মসূচির মাধ্যমে বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তন হতে পারে। আবার অনেকেই মনে করেন ওজোন স্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন কাজ।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ