বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‍“হাসিনা একদিনে স্বৈরাচার হননি। ভারতের মদদেই হাসিনা দিনে দিনে স্বৈরাচার হয়ে উঠেছিলেন। হাসিনার গুম, খুনের পেছনেও ভারতের মদদ ছিল।” 

তিনি বলেন, “গত ১৫-১৬ বছর এদেশে গুম, খুন হয়েছে। সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনেও শত-শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। সবই ভারতের মদদেই হয়েছে। ভারত নিজেদের স্বার্থেই বারবার নৌকাকে ক্ষমতায় রেখে ছিল। নির্বাচনে আগে তাদের সচিব-কর্মকর্তারা এসে হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য সব কলাকৌশল করে যেতেন।” 

শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের উত্তর মজুপুর সনাতনী দেবালয়ের আয়োজনে মাদাম স্নানঘাটে অষ্টমী স্নান ও হরিনাম যজ্ঞ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষে সহায়তা

ইউনূস-মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে: মির্জা ফখরুল

এ্যানি বলেন, “ভারতের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে সেসব কথা বলা হচ্ছে, তা মিথ্যা। বাংলাদেশের হিন্দুরা ৫ আগস্টের পরে আগের চেয়ে বহুগুণে ভালো আছেন। আসলে ভারত নিজেদের স্বার্থে বাংলাদেশের হিন্দুদের ব্যবহার করতে চাচ্ছে। যা বাংলাদেশের হিন্দুরা কখনো কামনা করে না।”

তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগ হিন্দুদের নিজেদের সম্পত্তি মনে করতো। হিন্দুরা আওয়ামী লীগের সময়ই বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের বাড়ি, দোকানপাট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই দখল করেছে। তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন, সেখানে সব ধর্মের কথা বলা আছে। বাংলাদেশের হিন্দু-খ্রিস্টান ও মুসলমানসহ সবাই মিলে মিশে থাকবেন, কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র সৃষ্টি করেছেন। সব ধর্মের মানুষকে নিয়েই তিনি রাজনীতি করেছেন।”

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর শাখার সভাপতি শংকর মজুমদা, ডা.

রতনদ্বীপাল ও বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিমুল শাহ।

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আওয় ম ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীরে ব্যাপক ধরপাকড়, ভাঙা হচ্ছে বাড়ি: ‘আমার ভাই জড়িত থাকলেও পরিবারের অপরাধ কী’

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর রোববার রাতেও নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এ নিয়ে টানা চার রাত ধরে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটল। এ ছাড়া হামলার পর কাশ্মীরে প্রায় ২ হাজার জনকে আটক করেছে ভারতীয় বাহিনী। হামলায় জড়িত সন্দেহের অনেকের ঘর–বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

রোববার রাতের গোলাগুলির বিষয়ে ভারতের সামরিক বাহিনীর ভাষ্য আগের দিনগুলোর মতোই। তারা জানিয়েছে, কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় কোনো উসকানি ছাড়াই গুলি ছোড়েন পাকিস্তানি সেনারা। এরপর ভারত এর পাল্টা জবাব দেয়। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আর আগেই মতোই এদিনও গোলাগুলির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তান সরকার বা দেশটির বাহিনী।

এই গোলাগুলি নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি অবস্থান করা বাসিন্দাদের নতুন করে দুর্দশার মধ্যে ফেলেছে। এমনই একজন ভারতের ডাওকে এলাকার বাসিন্দা হরদেব সিং। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মাঠে কৃষিকাজ করতে যেতে পারছি না।’ অন্যদিকে লানজোত এলাকার বাসিন্দা শওকাত আওয়ান বলেন, ‘আমরা এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বড় হয়েছি। আমাদের মধ্যে আর ভয় কাজ করে না।’

পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি শনিবার বলেছেন, পাকিস্তানের ১৩০টির বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা নতুন নয়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে কাশ্মীরের মালিকানা নিয়ে তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে দুই দেশ। তবে ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর শুরু হওয়া গোলাগুলি বড় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কারণ, ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে নয়াদিল্লি। যদিও এ অভিযোগ নাকচ করেছে ইসলামাবাদ।

হামলার পর ভিসা বাতিল, সিন্ধু পানিচুক্তি বাতিল, আকাশসীমা বন্ধসহ একরাশ পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। পাকিস্তানের নাম না নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘কঠিন জবাব’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। আর পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি শনিবার বলেছেন, পাকিস্তানের ১৩০টির বেশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় স্বজনের মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন একজন নারী

সম্পর্কিত নিবন্ধ