সারা বছর দর্শকখরা গেলেও ঈদে সিনেমা হলে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। এবার ঈদের দিন থেকে প্রেক্ষাগৃহে ৬টি সিনেমা মুক্তি পেলেও দুই একটি ছাড়া প্রতিটি সিনেমাই তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে। তাই নিজেদের সিনেমার দিকে দর্শক টানতে তারকাদের দৌড়ঝাঁপটাও এবার বেশি।

শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি স্টার সিনেপ্লেক্সে দর্শকের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন ‘দাগি’ সিনেমার অভিনেতা আফরান নিশো। এসময় সিনেমার সহশিল্পীদের কথাও বলেন তিনি। 

তাঁর মতে, ‘দাগি’ সিনেমায় তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, রাশেদ মামুন অপুর চরিত্র ছিল একেকটা পিলারের মত।

আফরান নিশো বলেন, “আমাদের ‘দাগি’ সিনেমার সবগুলো চরিত্র ভীষণ জটিল এবং কঠিন। এই চরিত্রগুলো যদি ভালোভাবে উপস্থাপন না হতো তাহলে নিশান (আমার) চরিত্রটা আসতোই না। সবগুলো চরিত্রের ওপর দিয়ে নিশান চরিত্রের জার্নিটা। অনেকেই মনে করবে এটা নিশোর শো। কিন্তু আমি বলতে চাই, এটা গল্পের শো।’

নিশো বলেন, ‘তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, রাশেদ মামুন অপু যা করেছে, তাঁদের অভিনয় দেখে আমি নিজেও অবাক হয়েছি। প্রত্যেকটা সময় অভিনয়ে তাঁরা মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। যেখানে নিশানের একটা জার্নি দেখতে পাই। এখানে তর্মা মির্জা, সুনেরাহসহ যারা অভিনয়ে ছিলেন তাঁদের সবাইকে আমি একেকটি পিলার বলবো। এর মধ্যে একটা পিলার যদি পড়ে যায় তাহলে এই সিনেমার কিছু থাকতো না।’

সমাজের অন্ধ চোখ আর বন্ধ মগজ খুলে দেয়ার বার্তা নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘দাগি’। শিহাব শাহীন পরিচালিত ও শাহরিয়ার শাকিল প্রযোজিত এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত, মিলি বাশার, শহীদুজ্জামান সেলিমসহ আরও অনেকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: তম ম র জ আফর ন ন শ স ন র হ ব নত ক ম ল

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাসনের যন্ত্রণার গল্প বলেন যিনি

জন্ম ইউক্রেনে হলেও আমির ফাখের এলদিনের পিতৃভূমি সিরিয়ার শহর গোলান হাইটস। এটি এখন ইসরায়েলের দখলে। নিজ দেশে ফিরতে না পারার কষ্ট সেলুলয়েডে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। নির্বাসন নিয়ে চার বছর আগে শুরু করেন ত্রয়ী সিনেমা নির্মাণের কাজ। ইতিমধ্যে নির্মাণ করেছেন দুটি ছবি। তৃতীয় ছবির কাজও শুরু হয়েছে।
২০২১ সালে ট্রিলজির প্রথম ছবি ‘দ্য স্ট্রেঞ্জার’ নির্মাণ করেন আমির ফাখের এলদিন।

এটি আদনান নামের এক গ্রাম্য চিকিৎসকের গল্প, নিজ অঞ্চল দখলের ফলে যিনি নিজের পরিচয় হারিয়ে ফেলেছেন। ছবিটির শুরুতেই উঠে আসে তাঁর দেশ ছাড়ার টানাপোড়েন। ৭৮তম ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এটি প্রদর্শিত হয়।

‘দ্য স্ট্রেঞ্জার’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ