খুলনায় পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ প্রকল্প ‘স্থগিতের’ প্রতিবাদ
Published: 5th, April 2025 GMT
খুলনায় পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ প্রকল্প ‘স্থগিত’ করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাগরিক সংগঠনের নেতারা। তাঁরা দ্রুত খুলনায় গ্যাস সরবরাহের দাবি জানান।
আজ শনিবার দুপুরে ‘খুলনা নাগরিক সমাজ’ নামের একটি নাগরিক সংগঠনের সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। নগরের শান্তিধাম মোড়ে সংগঠনটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দাবি পূরণ না করা হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব মো.
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এর আগে খুলনায় যেসব শিল্পকলকারখানা গড়ে উঠেছিল, সেগুলোও একের পর এক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিল্পনগরী খুলনা এখন বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। খুলনায় ন্যূনতম ইন্ডাস্ট্রিয়াল কানেকশনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করতে পারলে খুলনায় আবারও শিল্পের জাগরণ হতে পারে। গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে উৎপাদন খরচ অনেকটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার যে সুযোগ সৃষ্টি হবে, তাতে গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্পকারখানা। বাড়বে ব্যক্তি উদ্যোক্তাও। গ্যাস না থাকায় এ অঞ্চলে বিনিয়োগে উৎসাহ নেই শিল্প উদ্যোক্তাদের।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, খুলনায় শিল্পকারখানা গড়ে উঠলে বা বন্ধ শিল্পকারখানা চালু হলে শুধু খুলনার মানুষের কর্মসংস্থানই হবে না, কমবেশি ওই সুবিধা ভোগ করবেন সমগ্র দেশের মানুষ। খুলনায় উৎপাদনের চাকা সচল হলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতেও।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ য স সরবর হ প রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানায় গ্যাস সরবরাহে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে সরকার: প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের কারখানাগুলোতে স্বচ্ছন্দে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার দোহায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেছেন, ‘অনেকে বলেছেন, গ্যাসের অভাবে তারা কারখানা স্থাপন করতে পারছেন না। তাই, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করতে চাই যাতে পর্যাপ্ত গ্যাস (বিদেশ থেকে) আনা যায়।’
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দোহা সফরের সময় কাতার এনার্জির সঙ্গে একটি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে মিগগির স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনালটি স্থাপন করা হবে। খবর-বাসস
প্রধান উপদেষ্টার দোহা সফর সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এই সফর অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে। আমি বলব এটি সবচেয়ে সফল এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয় সফরগুলোর মধ্যে একটি।
শফিকুল আলম আশা প্রকাশ করেছেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে এবং অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসবেন। দেশের অর্থনীতির উত্থান-পতনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় ৩শ’ ২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ ছিল, কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তা কমিয়ে ৬০ কোটি মার্কিন ডলারে নিয়ে এসেছে।
প্রেস সচিব বলেছেন, অবশিষ্ট ঋণ কয়েক মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। তিনি আরও বলেছেন, ‘এটি বিশ্বের বাইরে ইতিবাচক সংকেতের অনুভূতি যে আমরা ব্যবসার জন্য প্রস্তুত।’ চার দিনের সফর শেষে প্রফেসর ইউনূস আজ শুক্রবার পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগদানের জন্য দোহা থেকে ইতালির রোমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।