নরসিংদীতে স্থানীয় কবরস্থানে জমি দান করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আড়াইহাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী নরসিংদীর মাধবদী থানার ডৌকাদি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতের মধ্যে কুলসুম বেগম (৪০), সিরাজুল ইসলাম (৪৫) ও শাহীন মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মুন্নী আক্তার ও (৩৫), আব্দুস সাত্তার (৪০), খোকন মিয়াকে (৩৫) আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন কুলসুম, মুন্নী ও সাত্তার।

আহতদের স্বজনরা জানান, ডৌকাদি পাড়ায় সামাজিক কবরস্থানে এক শতাংশ জায়গা দান করা নিয়ে শাহীন ও মোখলেছের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও তা সমাধান হয়নি। আজ শনিবার এ নিয়ে ফের সালিশে বসলে কবরস্থানের পাশে শাহীনের পরিবারের এক শতাংশ জায়গা দিয়ে দিলে মোখলেছের পরিবারের পক্ষ থেকে শাহীনের পরিবারকে তাদের বাড়ির পাশে এক শতাংশ জায়গা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্ত মোখলেছের পরিবার প্রত্যাখান করলে সেখানে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির হয়। পরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। 

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, এ ব্যপারে কোনো পক্ষই এখনও অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

জিনদের আবাস

হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) ‘কার’-বিশিষ্ট ভূমিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করছেন। কারণ সেটা জিনদের আবাসস্থল। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘কার’ কি? তিনি বলেন, ঘন ঝাড়-জঙ্গল, গাছপালা ঘেরা নিম্নাঞ্চল। এ ছাড়া জনবসতির শৌচাগার, গোসলখানা, নোংরা ও অপবিত্র স্থান, আবর্জনার স্তূপ এবং কবরস্থানে দুষ্ট জিন-শয়তান বিচরণ করে। তিনি বলেছেন, ‘নিশ্চয় শৌচাগারে দুষ্ট জিন-শয়তান উপস্থিত থাকে। তাই তোমরা যখন সেখানে প্রবেশ করবে তখন বলবে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিলান খুবুসি ওয়াল খবাইস।’ অর্থাৎ, আমি আল্লাহর কাছে যাবতীয় দুষ্ট পুরুষ ও নারী জিন ও শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৬)

হাদিস অনুযায়ী শৌচাগার হলো, যেখানে নাপাক থাকে বা শরীর বস্ত্রহীন করতে হয়, সেসব জায়গায় শয়তানের আনাগোনা থাকে। মানুষকে বিবস্ত্র করা শয়তানের অন্যতম একটি কাজ। কারণ আল্লাহর এবং বান্দার মধ্য আবরণ হলো লজ্জা। আদম ও হাওয়া (আ.) যখন আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছিলেন, প্রথমেই তাদের শরীর থেকে জান্নাতের পোশাক খুলে গিয়েছিল।

আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫

নবীজি (সা.) মাটির গর্তে প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছেন। এতে জিনদের বসবাসের স্থান।’ (আবুদাউদ, হাদিস: ২৯)

কবরস্থানে জিনেরা সাধারণত মানুষের মতোই যাতায়াত করে। আবার কখনো অবস্থান করে দীর্ঘদিন। ভালো-মন্দ সব ধরনের—এমনকি সেখানে দুষ্ট প্রকৃতির জিন-শয়তানরাও অবস্থান করে।

একটা ভুল ধারণা লোকসমাজে প্রসিদ্ধ আছে, ‘বদকারদের কবরের আজাবের ভয়ে জিনেরা কবরস্থানে থাকে না।’ অথচ নবীজি বলেছেন, ‘অতঃপর তার জন্য লোহার বিশাল হাতুড়িধারী একজন অন্ধ ও বধির ফেরেশতা নিযুক্ত করা হয়। সেই ফেরেশতা ওই হাতুড়ি দিয়ে অবিশ্বাসীকে এমন জোরে আঘাত করে; যার আওয়াজ মানুষ ও জিন ছাড়া পূর্ব-পশ্চিমের সব সৃষ্টি শুনতে পায়।’ (আবু দাউদ, ৪,৭৫৩)

এ ছাড়া বাজার ও দোকানপাটে দুষ্ট জিন-শয়তানের আনাগোনা বেশি থাকে। আল্লাহর রাসুল (সা.) জানিয়েছেন, ‘বাজারে শয়তান তার যুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ২,৪৫১)

আরও পড়ুনএকদল জিন পবিত্র কোরআন শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন২০ নভেম্বর ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জিনদের আবাস