সাগরের বুকে পাহাড়ি দ্বীপ কক্সবাজারের মহেশখালী। মৈনাক পাহাড়, আদিনাথ মন্দির, সোনাদিয়া দ্বীপসহ নানা পর্যটন স্পট ঘিরে বছরজুড়েই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে দ্বীপটিতে। তবে এর সঙ্গে নতুন করে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকা। এবার ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে এলাকাটিতে। বাইরে থেকে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের অবকাঠামো দেখার পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন সড়ক ও সেতু এবং মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর এলাকা ঘুরে দেখছেন এসব দর্শনার্থী।

বঙ্গোপসাগর ঘেঁষে মহেশখালীর মাতারবাড়ী এলাকার ১ হাজার ৬০০ একরের পরিত্যক্ত লবণ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের বৃহৎ ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ধারণক্ষমতার তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাজুড়ে দর্শনার্থীদের ভিড়। দূরদূরান্ত থেকে যেমন অনেকে এসেছেন, তেমনি রয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারাও। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটির চারপাশে দেয়াল দিয়ে ঘেরা, এর ওপর রয়েছে কাঁটাতার। বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাইরের কারও প্রবেশের অনুমতি নেই। এরপরও দর্শনার্থীরা দেয়ালের বাইরে থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যতটুকু পারেন, দেখার চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফটকের সামনে ছবি তুলতেও ব্যস্ত দেখা যায় দর্শনার্থীদের।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের পূর্ব পাশে কুহেলীয়া নদী। সেই নদীতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্মাণ করা জেটিতেও দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়। সেখানেও দর্শনার্থীদের কেউ ছবি তুলছেন, কেউ আবার ভিডিও করছেন। চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেখতে আসা নুরুল আলমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বাঁশখালীর চাম্বল এলাকার বাসিন্দা। নুরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং বিভিন্ন টেলিভিশনে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেখেছেন। এটি সামনাসামনি দেখার ইচ্ছা ছিল। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘নদীর এক পাশে পাহাড়, অন্য পাশে বিদ্যুৎকেন্দ্র। খুব ভালো লেগেছে।’

বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে দর্শনার্থীরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ত রব

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতজুড়ে কাশ্মীরি দুই বোনের প্রশংসা

কাশ্মীরের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনার সময় অন্যরকম ভূমিকা পালন করেন কাশ্মীরি দুই বোন—রুবিনা ও মুমতাজ। মঙ্গলবারের ওই হামলার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক পর্যটককে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যান। তাদের এই মানবিকতা ও সাহসের প্রশংসা করচেন অনেকে। 

বৈসরন উপত্যকার পাশেই থাকে দুই বোন। পর্যটক গাইড রুবিনা ও মুমতাজ প্রতিদিন দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুদের নিয়ে ঘোরান, দেখান কাশ্মীরের সৌন্দর্য। রুবিনার একটি অন্য নামও রয়েছে—‘কাশ্মীরের খরগোশ কন্যা’। কারণ তিনি পর্যটকদের হাতে নিজের পোষা খরগোশ তুলে দিয়ে ছবি তোলার সুযোগ করে দেন।

হামলার দিন অন্যান্য দিনের মতোই, রুবিনা ও মুমতাজ চেন্নাই থেকে যাওয়া একদল পর্যটকের গাইড হিসেবে ইকো পার্ক এলাকায় ছিলেন। দুপুরের দিকে আচমকা জঙ্গিরা হামলা চালালে আশেপাশে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পর্যটকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। 

জঙ্গিরা যখন আচমকা হামলা চালায়, তখন তাদের সঙ্গে শিশু ও বৃদ্ধসহ বেশ কয়েকজন পর্যটক ছিলেন। তারা সবাই তখন আতঙ্কে সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন। কেউ হাঁটতে পারছিলেন না, কেউ কেউ কাঁদছিলেন। রুবিনা ও মুমতাজ প্রথমে পর্যটকদের আশ্বস্ত করেন, এরপর প্রথমে একটি দলকে পাহাড়ি রাস্তা ও জঙ্গলের মধ্য দিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখান থেকে স্থানীয় হোটেলে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেন।

এরপর ফিরে এসে আরও কয়েকটি দলকে একইভাবে নিয়ে যান। সেই সময় শুধু পথ দেখানোই নয়, পর্যটকদের মানসিকভাবে শান্ত রাখার কাজটাও করেন তারা। পর্যটকদের কী করতে হবে, কোথায় যেতে হবে, সেই নির্দেশনা দেন।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রুবিনা বলেন, 'সেই মুহূর্তে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল পর্যটকদের প্রাণ রক্ষা করা। আমরা আমাদের নিরাপত্তার কথা ভাবিনি। সবাই কাঁপছিল, শুধু বলছিল, আমাদের বাঁচাও।'

ভারতজুড়ে এই দুই বোনের সাহসিকতা ও মানবিকতা এখন প্রশংসিত হচ্ছে। সাধারণ গাইডের ভূমিকায় যারা কাজ করছিলেন, তারা এক মুহূর্তে হয়ে উঠেন রক্ষাকর্তা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতজুড়ে কাশ্মীরি দুই বোনের প্রশংসা
  • সীমান্তে গোলাগুলি, ফিরছেন ভিসা বাতিল হওয়া নাগরিকেরা
  • কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার নিন্দা উদীচীর
  • পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়ে নিজেই গুলিতে প্রাণ হারালেন কাশ্মীরি তরুণ
  • আহত কিশোরকে বাঁচাতে তাকে পিঠে নিয়ে পাহাড় বেয়ে দৌড়ে নামেন সাজ্জাদ, ভিডিও ভাইরাল
  • কাশ্মীরে হামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ চাইলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী 
  • সিমলা চুক্তি বাতিল, বাণিজ্য স্থগিতসহ ভারতের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিল পাকিস্তান
  • হামলাকারীদের ‘পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত’ তাড়া করে খুঁজে বের করব: নরেন্দ্র মোদি
  • পানি চুক্তি স্থগিত, স্থলসীমান্ত বন্ধসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ পদক্ষেপ নিল ভারত
  • সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিল ভারত